বিদেশি ডাকে পিস্তল আনার ঘটনায় চট্টগ্রাম কাস্টমসের মামলা দায়ের

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
22 February, 2022, 10:00 am
Last modified: 22 February, 2022, 11:27 am
ইতালি থেকে রাজীব বড়ুয়া মুন্না চট্টগ্রামের কামরুল হাসানের উদ্দেশ্যে পার্সেলটি পাঠিয়েছেন।

ইতালি থেকে পার্সেলে করে দুটি পিস্তল ও ৬০ রাউন্ড কার্তুজ আনার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।

রোববার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন এ মামলা দায়ের করেন।

কাস্টমস হাউসে বৈদেশিক ডাকে আসা পিস্তল দুটির গন্তব্য ছিল চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকার সিজিএস কলোনি। ওই এলাকার কামরুল হাসানের নামে ইতালি প্রবাসী রাজীব বড়ুয়া মুন্না এই অস্ত্র পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলায় এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে, যার ঠিকানায় এই পিস্তল পাঠানো হয়েছে সেই কামরুল হাসান আয়কর বিভাগের একজন কর্মচারী বলে জানিয়েছে পুলিশ। নোয়াখালীর চাটখিলের বাসিন্দা কামরুল আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনি এলাকায় অনেক বছর ধরেই বসবাস করছেন। তবে ঘটনার পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

অন্যদিকে, পিস্তল ও কার্তুজ পার্সেলকারী ইতালি প্রবাসী রাজিব বড়ুয়া মুন্নার গ্রামের বাড়ী চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় বলে জানা গেছে। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কয়েক দশক ধরে চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি মামলার আসামি ছিলেন রাজীব বড়ুয়া মুন্না। সেই সময় একাধিকবার তিনি অস্ত্রসহ গ্রেফতারও হয়েছিলেন। এরপর ২০০৯ সালের শেষের দিকে রাজীব বড়ুয়া পাড়ি জমান ইতালিতে।

চট্টগ্রাম বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ জাহেদুল কবির দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "ঘটনার পর থেকে কামরুল হাসানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া, অস্ত্রের চালান প্রেরক রাজীব বড়ুয়ার বিষয়ে যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা যাচাই বাছাইয়ের প্রয়োজন আছে।"

রোববার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে বিদেশি ডাকের একটি চালান থেকে ইতালিতে তৈরি দুটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। একই চালানে পিস্তলের সঙ্গে এসেছে ৬০ রাউন্ড কার্তুজ। এছাড়া ওই চালান থেকে দুটি খেলনা পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.