নিবন্ধন ছাড়াই প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত: ডিজিএইচএস

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
16 February, 2022, 07:55 pm
Last modified: 16 February, 2022, 08:01 pm
করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি ‘মেগা ক্যাম্পেইন’ হাতে নিয়েছে সরকার। এদিন ১ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) মহাপরিচালক বলেছেন, নিবন্ধন বা জন্ম নিবন্ধন সনদ/এনআইডি ছাড়াই আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিতে পারবে মানুষ।

করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি 'মেগা ক্যাম্পেইন' হাতে নিয়েছে সরকার। এদিন ১ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসে বুধবার সংস্থাটির টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'এ সময় টিকার প্রথম ডোজ নিতে কোনো ধরনের নিবন্ধন বা জম্ম সনদ, এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্রেরও প্রয়োজন হবে না। টিকাদান কার্যক্রমকে শক্তিশালী করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'

ডা. শামসুল হক আরও জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধন ছাড়া প্রথম ডোজের টিকা দেয়ার জন্য সব হাসপাতালকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সবাইকে টিকা নিতে অনুরোধ করে তিনি বলেন, 'টিকা পর্যাপ্ত আছে, কিন্তু প্রথম ডোজের কার্যক্রমের জন্য সময় বেঁধে দিতে চাই। সবাইকে অনুরোধ করছি টিকা নিন, কারণ আমরা প্রথম ডোজের কার্যক্রম বন্ধ করে দেব। ২৬ তারিখের মধ্যে সব মানুষকে প্রথম ডোজ দিতে চাই। সেদিন এক কোটির বেশি মানুষ এলেও আমরা টিকা দিতে পারব। সবাই নিজ নিজ বাড়ির কাছের কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিন।'

তিনি আরও বলেন, যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন, কিন্তু মেসেজ পাননি, তারা মেসেজের অপেক্ষা না করে নিকটতম কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। সব কেন্দ্রকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে মেসেজ না থাকলেও টিকা দিতে।

'করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ইতোমধ্যে আমরা ১০ কোটি মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ ও ৭ কোটি মানুষকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছি,' যোগ করেন তিনি। এছাড়াও তিনি জানান, ১২ বছরের বেশি বয়সি ১২ কোটি, অর্থাৎ ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের। 

ডা. শামসুল হক জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী টিকাদান ক্যাম্পেইনের জন্য প্রত্যেক ইউনিয়নে তিনটি করে টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এছাড়া উপজেলার নির্ধারিত হাপাতালের সব টিকাকেন্দ্রও চালু থাকবে। প্রতিটি উপজেলায় ৫টি অতিরিক্ত টিম কাজ থাকবে। যেসব জায়গায় মানুষের সমাগম বেশি, সেখানে টিকা দেবে এসব টিম। 

জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও উপজেলায় প্রতি কেন্দ্রে ৩০০ করে এবং সিটি করপোরেশনে ৫০০ করে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি ডিজিএইচএস মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম জানান, ডিজিএইচএস ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করে দেবে।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.