নেত্রকোনায় হুমায়ূন আহমেদের বাড়িতে হামলা

বাংলাদেশ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
06 January, 2022, 09:40 pm
Last modified: 06 January, 2022, 09:39 pm
ইউপি নির্বাচনে হুমায়ূন আহমেদের চাচাতো ভাই শফিকুল ইসলাম শফিক মোরগ প্রতীক নিয়ে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। বিজয়ী হন একই গ্রামের বিএনপি-সমর্থিত ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী হারেছ মিয়া। ফল ঘোষণার পর হারেছ মিয়ার সমর্থকরা হুমায়ূন আহমেদের পৈতৃক বাড়িসহ শফিকুল ইসলামের সমর্থকদের ৬-৭টি বাড়িতে হামলা চালায়। 

ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের পৈতৃক বাড়িসহ কয়েকটি বাড়িতে হামলা হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে অন্তত ৬-৭টি ঘর। 

বুধবার রাতে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে বুধবার রাতে হামলার ঘটনা ঘটলেও বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। 

জানা গেছে, গতকাল বুধবার (৫ জানুয়ারি) প্রথম ধাপে কেন্দুয়া উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে হুমায়ূন আহমেদের চাচাতো ভাই শফিকুল ইসলাম শফিক মোরগ প্রতীক নিয়ে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। বিজয়ী হন একই গ্রামের বিএনপি-সমর্থিত ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী হারেছ মিয়া।

ফলাফল ঘোষণার পরপরই হারেছ মিয়ার সমর্থকরা বিজয় মিছিল বের করে। মিছিল শেষ করে তারা সশস্ত্র অবস্থায় হুমায়ূন আহমেদের পৈতৃক বাড়িসহ শফিকুল ইসলামের সমর্থকদের ৬-৭টি বাড়িতে হামলা চালায়। 

শফিকুল ইসলাম বলেন, 'হামলার সময় পুরুষরা ভোটকেন্দ্রে ছিল। তাই কাউকে আহত করতে পারেনি। আমাদের না পেয়ে তারা নারীদের উদ্দেশে অকথ্য গালাগালসহ আমাদের বাড়িঘরে হামলা করেছে। একই সময়ে আমার সমর্থক আসাদউল্লাহ, এমদাদুল হক, রুহুল আমিন, আবু সালামসহ কয়েকজনের বাড়িরও ৬-৭টি ঘর ভাংচুর করে।'

হমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আসাদ উল্লাহ জানান, 'হামলাকারীরা আমার বাড়িতেও হামলা করেছে। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে, হুমায়ূন স্যার যে ঘরটিতে এসে অবস্থান করতেন, সে ঘরটিও তারা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘরটি এতদিন তাদের বাড়ির লোকজন অক্ষত অবস্থায় রেখেছিলেন।'

এদিকে হামলার খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো পরিদর্শন করেছে। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আসাদউল্লাহ আরও বলেন, 'আমরা এখন কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজি শাহনেওয়াজ জানান, 'ভাংচুরের ঘটনাটি সত্য। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ তদন্ত করে এসেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.