বস্তিবাসীদের শরীরে কোভিড-১৯ এর অ্যান্টিবডি বেশি: গবেষণা

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
30 December, 2021, 11:25 am
Last modified: 30 December, 2021, 11:34 am
সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, নিম্ন আয়ের ব্যক্তিদের শরীরে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

বস্তিতে বসবাস করেন না এমন মানুষদের তুলনায় বস্তিতে বসবাসকারীদের শরীরে কোভিড-১৯ এর অ্যান্টিবডি বেশি পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বস্তি সংলগ্ন এলাকার ৬২.২ শতাংশ মানুষ ও বস্তিতে বসবাসকারী ৭১ শতাংশ মানুষ কোভিড-১৯ এর অ্যান্টিবডি বহন করছেন। এরমধ্যে ঢাকায় ৭২.৯ শতাংশ বস্তিবাসী ও চট্টগ্রামের ৫৪.২ শতাংশ বস্তিবাসীর শরীরে কোভিড-১৯ এর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

কোনো ব্যক্তির রক্তে অ্যান্টিবডি থাকার অর্থ হল, তিনি পূর্বে সংক্রামিত হয়েছিলেন বা ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছিলেন। এবং এর প্রতিক্রিয়া হিসেবেই তার শরীর রক্তে অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে।

গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বস্তি ও বস্তি সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী মানুষের ওপর জরিপ চালায় আইসিডিডিআরবি। জরিপকৃত এলাকাগুলোর মধ্যে ঢাকার চারটি বস্তি- কড়াইল, মিরপুর, ধলপুর ও এরশাদ-নগর এবং চট্টগ্রামের দুটি বস্তি শহীদ লেন ও আকবর শাহকাটা পাহাড় রয়েছে।

সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, নিম্ন আয়ের ব্যক্তিদের শরীরে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবডির উপস্থিতি রয়েছে। যারা নিয়মিত হাত ধুয়ে থাকেন, মুখে কিংবা নাকে হাত দেন না, বিসিজি টিকা নিয়েছেন এবং মধ্যমানের কায়িক পরিশ্রম করেন এমন ব্যক্তিদের সার্স-কভ-২-তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম।

জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের শরীরে উল্লেখযোগ্য হারে ভিটামিন ডি-এর অভাব পাওয়া গেছে।  কিন্তু ভিটামিন-ডি-এর ঘাটতি অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলেনি।

এছাড়া গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, যারা ডেঙ্গু অথবা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা কোভিড-১৯ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.