জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড নিয়ে যা বললেন জুরিরা
দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মাননা জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২১ (জেবিওয়াইএ) আগামী ২০ ডিসেম্বর (সোমবার) বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহৃত অবিস্মরণীয় স্লোগান 'জয় বাংলা'র স্মরণে প্রতি দুই বছরে একবার এ পুরস্কার দেয়া হয়। তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ বছর ব্যবধান কমিয়ে এক বছর করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) পৃষ্ঠপোষকতায় অ্যাওয়ার্ডটির আয়োজক ইয়াং বাংলা।
ইয়াং বাংলা'র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের এবারের আয়োজনে যুব ও তরুণদের নেতৃত্বাধীন ৭৫০টি সংগঠন থেকে বাছাই করে পাঁচটি বিভাগে ১৫টি সংগঠনকে পুরস্কার দেওয়া হবে।
বিচারকেরা এই আয়োজনের প্রশংসা করে বলেছেন, অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে তারুণ্যই যে আমাদের শক্তি, তা আরও প্রসারিত হবে।
এ বিষয়ে অ্যাওয়ার্ডটির জুরি বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিদুল হক বলেন, "যেটা খুব ভালো লাগলো, সমাজের মুক্তি, মানুষের মুক্তি এবং মানুষের কাছে বিকাশের সুফল বয়ে নিয়ে যাওয়ার আকুতিটা গভীরভাবে বহন করছেন বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম তথা বাংলাদেশের যুবসমাজ। নানাভাবে এর প্রকাশ ঘটেছে। আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কেউ কেউ কাজ করছেন এবং সেই প্রযুক্তির সুবিধাকে কী করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় সেটি নিয়ে কাজ করছেন। একেবারে ছোট উদ্যোগও আছে, কিন্তু তারও তাৎপর্য অপরিসীম। সবমিলিয়ে আশাবাদী হওয়ার মতো একটা জায়গা এখানে খুঁজে পাওয়া গেল।"
অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, "সারাদেশ থেকে সব শ্রেণির, সব গোষ্ঠীর তরুণ উদ্যোক্তা যারা, তারাই এখানে অংশগ্রহণ করেছে। একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে, সুনির্দিষ্ট মেথডোলজি ব্যবহার করে এই টিম তাদের তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছে। এগুলো দেখে আমরা একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এসেছি।
"তারুণ্যই যে আমাদের শক্তি, সেটি অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে আমরা আরও প্রসারিত করতে পারব এবং এই শক্তিকে আরও উৎসাহিত করতে পারব।"
এ বিষয়ে জুরি বোর্ডের আরেক সদস্য অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, "বাংলাদেশের শক্তি কিন্তু সবসময়ই তারুণ্যের শক্তি। এই যে আমরা মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর উদযাপন করছি, যে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা দেশকে পেলাম, সেই স্বাধীনতা এসেছে কিন্তু তরুণদের হাত ধরে। তাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে।
"বাছাই প্রক্রিয়ার সময় আমি দেখলাম, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কত শত তরুণ নিজেদের সেক্টরে বিভিন্ন রকম কাজ করে যাচ্ছে। কারও কারও হয়তো নিজের পায়ের তলায় মাটি শক্ত নেই, তারা কিন্তু অন্যের পায়ের তলার মাটি শক্ত করার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে যাচ্ছে।"