খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি: ফখরুল

বাংলাদেশ

ইউএনবি
15 December, 2021, 03:55 pm
Last modified: 15 December, 2021, 04:00 pm
বিএনপি নেতা বলেন, “কোনো দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত থাকলে মানুষ মানবাধিকার ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ভোগ করতে পারে না। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে সরকারের বাধা তার সর্বশেষ উদাহরণ।”

লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, "ম্যাডামের (খালেদার) স্বাস্থ্যের অবস্থা আবার খারাপ হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) থেকে তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটারে নিম্নগামী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।"

বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, "খালেদার হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও কমের দিকে।"

এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত খালেদার কোনো অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হয়নি।

তিনি বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার না থাকায় সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না।

ফখরুল বলেন, "জনগণের কাছে জবাবদিহিতা প্রতিটি ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ফলে দেশের সর্বত্র গণতন্ত্রহীনতা বিরাজ করছে।"

বিএনপি নেতা বলেন, "কোনো দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত থাকলে মানুষ মানবাধিকার ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ভোগ করতে পারে না। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে সরকারের বাধা তার সর্বশেষ উদাহরণ।"

৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।

খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।

এদিকে, চিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কিছুদিনের মধ্যেই জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

গত ৮ ডিসেম্বর বিকালে রাজধানীর গুলশানে নিজ আবাসিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বিএনপির ১৫ জন আইনজীবী তার সাথে দেখা করে যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে এই উপমহাদেশের কোন আদালতে কোন নজির আছে কিনা তিনি সেটা খতিয়ে দেখছেন। এখনো তা শেষ হয়নি, প্রায় শেষ প্রান্তে। কিছুদিনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।
 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.