খরচ সাশ্রয়ী সৌরচালিত সেচে গতি নেই কেন

বাংলাদেশ

28 April, 2024, 04:10 pm
Last modified: 28 April, 2024, 04:40 pm
বিগত বছরগুলোতে বেশ কয়েকবার তাদের সোলার পাম্প স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে কমিয়েছে ইডকল। 

জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা কমাতে কৃষকদের কাছে সৌরশক্তি-চালিত সেচপাম্প জনপ্রিয় করার চেষ্টা বারবার হোঁচট খাচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি খুবই দুর্বল, ফলে গত ১৩ বছরে মাত্র চার হাজার এ ধরনের সেচযন্ত্র স্থাপন করা গেছে।  

ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সারাদেশে প্রায় ১৯ হাজার সোলার স্থাপনের লক্ষ্য নেয়। তবে এই উদ্যোগে ব্যর্থ হয়েছে সংস্থাটি। আর সেজন্য দায়ী করেছে, যথাযথ  ব্যাংক গ্যারান্টি ও আর্থিক সম্পদের অভাবকে। 

৪০০-৫০০ ওয়াট সক্ষমতার সোলার পাম্পের দাম প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। এই খরচের ৩৫ শতাংশ দেয় ইডকল, বাকিটা ব্যাংক গ্যারান্টি এবং কৃষকদের নিজেদের বহন করতে হয়।  

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-র এক গবেষণামতে, বাংলাদেশে ১৩ লাখ ডিজেলচালিত সেচ পাম্প রয়েছে, এগুলো সোলার পাম্পে রূপান্তর করা হলে বছরে ডিজেল সাশ্রয় হবে ৪ লাখ টন, যার মূল্য প্রায় ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

তবে আর্থিক সংকট অন্যান্য সংস্থার মতো ইডকলকেও প্রভাবিত করেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে পরিবেশ-বান্ধব ও ব্যয়-সাশ্রয়ী সৌরসেচে রূপান্তরের প্রচেষ্টা। 

বিগত বছরগুলোতে বেশ কয়েকবার তাদের সোলার পাম্প স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে কমিয়েছে ইডকল। 

২০১১ সালের ডিসেম্বরে ইডকল ঘোষণা দেয়, ২০১৬ সালের মধ্যে সারাদেশে তারা ১৮ হাজার ৭৫০টি সোলার পাম্প স্থাপন করবে।

২০১৮ সালে ইডকল ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ হাজার সোলার পাম্প স্থাপন করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে। পরে টার্গেট পূরণ হওয়া সম্ভব না দেখে লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে এবং ২০২৭ সালের মধ্যে মাত্র ১০ হাজার পাম্প স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে।

প্রতিষ্ঠানটি যখন দেখল ২০২৭ সালেও এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব না, তখন আবারও পিছিয়ে তা ২০৩০ সাল নাগাদ মাত্র ১০ হাজার ডিজেল পাম্প সোলারে রূপান্তরের লক্ষ্যমাত্রা নেয়।

৩৫ শতাংশ ঋণের বাইরেও ইডকল সোলার সেচ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য ৫০ শতাংশ অনুদান দেয়। আনুষ্ঠানিক নথি অনুসারে, সংস্থাটি এপর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৫২৩টি সৌরচালিত সেচপাম্প স্থাপন করতে পেরেছে। 

যথাযথ ব্যাংক গ্যারান্টি ও তহবিলের অভাব

ইডকলের নির্বাহী পরিচালক আলমগীর মোর্শেদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, যথাযথ ব্যাংক গ্যারান্টি এবং অপর্যাপ্ত তহবিলের অভাবে সংস্থাটি বারবার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি।   

তিনি বলেন, "ব্যাংক গ্যারান্টি ঠিকমতো না পাওয়ায় আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারিনি; কেউ এই প্রযুক্তি নিতে চাইলে তাকে ৫০ শতাংশ ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হবে – এটার নিশ্চয়তা আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী পাচ্ছি না। এছাড়াও এখানে আমাদের হাতে পযাপ্ত টাকা না থাকায় আমরা ঋণ ও এখাতে সহায়তা দিতে না পারায় প্রত্যাশা অনুয়াযী লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।"

মোর্শেদ আরো বলেন, "সারাদেশের ১৩ লাখ ডিজেলচালিত পাম্পকে সোলারে রূপান্তর করতে মোট ৬০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো থেকে যদি 'গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড' পাওয়া যায়– তাহলে এখাতে আরও বেশি সহায়তা দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।" 

কিন্ত ২০২১-৩০ সালে বাংলাদেশ যে আপডেটেড এনডিসি বা ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনস দিয়েছিল, তাতে বলা হয় বাংলাদেশ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় করলে মাত্র ৫ হাজার ৯২৫টি পাম্প, আর বিদেশি অর্থায়ন-সহযোগিতা পেলে ৪ হাজার ১০২টি পাম্পকে সৌরচালিত পাম্পে রুপান্তর করবে। সব মিলিয়ে মাত্র ১০ হাজার ২৭ টি সোলার সেচ পাম্প স্থাপন পরিকল্পনায় ছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিজেলচালিত পাম্পকে সৌর শক্তিচালিত পাম্পে রুপান্তরে সরকারের সুস্পষ্ট নীতি, দক্ষ জনশক্তি, কার্যকর ব্যবস্থাপনা, পর্যাপ্ত বাজেট ও নীতি সমর্থন না থাকার মতো বিষয়গুলো– পরিবেশবান্ধব ও টেকসই সোলার সেচ ব্যবস্থার সম্ভাব্য অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে।     

জলবায়ু ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এম জাকির হোসেন খান টিবিএসকে বলেন, "পানি সংকটের তীব্রতা প্রতিনিয়ত বাড়ছে, এতে সেচের খরচও বিরামহীনভাবে বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে, সেচকাজকে ব্যয় সাশ্রয়ী করে তোলার পাশাপাশি ১৩ লাখ ডিজেলচালিত পাম্পের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে – এগুলোকে সোলার পাম্পে রুপান্তরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তবে ভর্তুকি দেওয়া এই রুপান্তরকে অর্থপূর্ণ কৌশলের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে, যা এখনও প্রণীত হয়নি।"    

পাশাপাশি প্রান্তিক কৃষকদের সৌর সেচ ব্যবস্থায় নিয়ে আসতে জন্য উদ্ভাবনী এবং ভর্তুকিযুক্ত জলবায়ু তহবিলের অর্থায়ন জোগাড় করা উচিত বলেও মনে করছেন তিনি। 

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, ''সৌরচালিত সেচ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য কাঠামোগত সক্ষমতা লাগবে। সরকারের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তাহলে কৃষকরাও এটি গ্রহণ করতে আরো বেশি আগ্রহী হবে।''

গত ১১ মার্চ এক আলোচনা সভায় সরকারের টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, কৃষিতে সেচের জন্য সারাদেশে প্রায় ৪ হাজার সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রায় ৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতের ওপর চাপ কমেছে। ডিজেলের ব্যবহার কমেছে। কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পেয়েছে। কমেছে কৃষির উৎপাদন খরচ।

ইডকলের নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, এপর্যন্ত সারাদেশে ইডকল ১৫২৩টি সোলার পাম্প স্থাপন করেছে। এবং পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মিলে ২,৫০০-২,৬০০ মতো সারাদেশে সৌরচালিত সেচপাম্প স্থাপন হয়েছে।''

তবে এসব তথ্যপরিসংখ্যানের সাথে পুরোপুরি একমত নয় বেসরকারি সৌরচালিত সেচপাম্প অপারেটর, এনজিও এবং অন্য অংশীজনরা। 

ব্রাইট গ্রিন এনার্জি ফাউন্ডেশন একটি বেসরকারি সংস্থা যারা কুষ্টিয়া ও দিনাজপুরে সৌরচালিত সেচ প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান দিপাল বড়ুয়া বলেন, "সারাদেশে এপর্যন্ত ২,৫০০ থেকে ৩ হাজার সৌরচালিত সেচ পাম্প স্থাপন করা হয়েছে।"

দিপাল বড়ুয়া বলেন, ইডকল থেকে একটি পাম্প নিতে কমপক্ষে ৩০টি কঠিন শর্ত পূরণ করতে হয়, সবচয়ে কঠিন শর্ত হলো ১০০ শতাংশ ব্যাংক গ্যারান্টি। তারপর এই প্রযুক্তি গ্রহণ করার পর কারিগরি ও তথ্যপ্রযুক্তির দিক দিয়ে কোন সহায়তা করে না সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

তিনি বলেন, "ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যই সোলার সেচ ব্যবস্থায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ভর্তুকি দেয়। এতে ভারতে তৃণমূল পর্যায়ে একটা বিশাল বিপ্লব তৈরি হয়েছে। ভারতে কৃষকরা গত এক দশকে ৩ লাখের বেশি সোলার পাম্প স্থাপন করতে পেরেছেন। আর এই পাম্পগুলোর বেশিরভাগই গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত, যার ফলে অনেক গিগাওয়াট (গিডব্লিউ) বিদ্যুৎ কেবল সোলার সেচ থেকেই পাওয়া যায়।"

রুরাল সান পাওয়ার কোম্পানির স্বত্বাধিকারী নাজমুল হাসান দ্য বিজনেস স্টাডার্ডকে জানান, প্রচলিত সেচযন্ত্রকে সৌর পাম্পে রুপান্তরে– অর্থায়নই মূল সমস্যা। "গত কয়েক বছর রুরাল সান পাওয়ার ৫০ শতাংশ সোলার পাম্প বাকিতে বিক্রি করেছে। এতে বিক্রি অনেক বেড়েছে। তবে ক্রেতারা নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায়– এই সুযোগটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।"

সৌরচালিত সেচপাম্পের উৎপাদিত উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রেও অগ্রগতি নেই 

সোলার সেচ পাম্প দিয়ে মৌসুমের সেচ পরবর্তী বাকি বিদ্যুৎ সরকারের শিল্পসহ অন্যান্য খাতে ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে ২০২০ সালের জুলাই মাসে 'সৌর সেচ পাম্পের জন্য গ্রিড ইন্টিগ্রেশন গাইডলাইন' শীর্ষক একটি নীতিমালা প্রকাশ করে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা)।

নির্দেশিকার উদ্দেশ্য ছিল সেচ মৌসুম ব্যতীত অন্য সময়ে সরকার সোলার ইরিগেশন প্ল্যান্ট অপারেটরদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনবে। এতে আরো বলা হয়, পাম্প অপারেটররা স্থানীয় বিতরণ গ্রিড লাইন ব্যবহার করে তাদের উৎপাদিত 'অলস বিদ্যুৎ' জাতীয় গ্রিডে বিক্রি করতে পারবে।

কিন্তু সৌরচালিত সেচপাম্প মালিক, বেসরকারি কোম্পানি ও এনজিওদের থেকে পর্যাপ্ত সাড়া না পাওয়ায় এবং জিজেলচালিত পাম্পকে উল্লেখ্যযোগ্য হারে সোলারে রূপান্তর করতে না পারায়– নির্দেশিকাটি অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাই সরকার এখন এ খাতের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠনের কথা ভাবছে।

ব্রাইট গ্রিন এনার্জি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা দিপাল বড়ুয়া বলেন, সেচ মৌসুম ছাড়া বাকি ৬ মাস সরকার অপারেটরদের থেকে অলস বিদ্যুৎ কিনে অন্যান্য উৎপাদন খাতে কাজে লাগাতে চাইলে সরকারের অবশ্যই একটি ব্যবসায়িক মডেল থাকতে হবে, যেটি পাম্প অপারেটর ও কৃষক উভয়ের জন্যই লাভজনক হবে। "কিন্তু, বর্তমান নির্দেশিকায় সেটি অনুপুস্থিত।"

তিনি বলেন, "অফ-সিজনে আমাদের থেকে সরকারের বিদ্যুৎ কেনা কখনো প্রতিষ্ঠান ৬ মাস, কখনোবা  এক বছরেও টাকা দিতে পারে না। যার ফলে অপারেটররা নিজের গাঁটের টাকা দিয়ে এই বিদ্যুৎ উৎপাদনে ততোটা একটা আগ্রহী হচ্ছে না, কারণ তাদের পুঁজি তো খুব বেশি না যে তারা দীর্ঘদিন বাকিতে বিক্রি করতে পারবে।"

দেশের সব ডিজেলচালিত সেচপাম্প সৌরবিদ্যুতে রূপান্তর করলে ৬ থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। "সৌরচালিত সেচ ব্যবস্থা গ্রিডের সঙ্গে কার্যকরভাবে সমন্বিত না হওয়ার ফলে– স্থাপন করা সোলারের সক্ষমতার ৫০ থেকে ৬০ শতাংশই নষ্ট হচ্ছে"- বলেও জানান দিপাল বড়ুয়া।

ইডকলের নির্বাহী পরিচালক আলমগীর মোর্শেদ টিবিএসকে বলেন,  "বিদ্যুৎ কেনার বিষয়টি পাইলট প্রজেক্ট ছিল। কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সোলার সেচ পাম্প রূপান্তরে আমরা আশানুরূপ অগ্রগতি করতে পারিনি, যেকারণে সোলার সেচ পাম্পের বিদ্যুৎ উৎপাদনও কম হয়েছে। তবে এটি এখনও অমাদের পাইলট প্রজেক্ট আকারে রয়েছে, ব্যর্থ হচ্ছে  – এটা বলা এখনো সমীচিন হবে না।"

সৌরচালিত সেচপাম্পে যেভাবে উপকৃত হন কৃষক

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আল মামুন ২০২১ সালে জেলার নাচোল উপজেলায় একটি চাষাবাদ প্রকল্প হাতে নেন। পাঁচ বিঘা প্রকল্পটিতে একটি তিন বিঘা আমের বাগান ও দুই বিঘাজুড়ে মাছের খামার করে।

দীর্ঘ চেষ্টা করেও প্রকল্পে গ্রিড সংযোগ না পেয়ে মামুন বিদ্যুতের বিকল্প উৎসের কথা ভাবতে শুরু করেন। কিছুদিন খোঁজখবর নেওয়ার পর ওই বছর ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সোলার সেচ ব্যবস্থা স্থাপন করেন মামুন।

টিবিএসকে মামুন বলেন, "প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা ডিজেল ইঞ্জিন চালাতে দৈনিক প্রায় ৭০০ টাকা খরচ হয়েছে। তাই আমি সোলার সিস্টেম বেছে নেই, কারণ এতে জীবাশ্ম জ্বালানি লাগে না। ফলে আমার খরচ এখন অধের্ক কম লাগছে।" 

জেলার ভেলাজান গ্রামের কৃষক খাদেমুল ইসলাম বলেন, ডিজেলচালিত সেচ পাম্পের তুলনায় বর্তমান সোলার সেচ পাম্পে আমার অর্ধেকের চেয়েও বেশি খরচ কমে গেছে। আগে যে জমি সেচ দিতে ৪ হাজার টাকা খরচ হতো-তা এখন ১,৫০০ টাকায় হয়ে যাচ্ছে।

বিপুল অর্থ সাশ্রয় করবে সেচপাম্প সোলারে রূপান্তর

সোলার সেচ পাম্প নিয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর ১৫ বছর মেয়াদি (২০২০-২০৩৫) রোডম্যাপে দেখানো হয়েছে, বাংলাদেশে ১৩ লাখ ডিজেলচালিত পাম্প সৌর বিদ্যুৎচালিতে রূপান্তর করা হলে বছরে সরকারের ডিজেল সাশ্রয় হবে ৪ লাখ টন, যার মূল্য প্রায় ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

রোডম্যাপে বলা হয়, এই রুপান্তরের ফলে পাম্পের সংখ্যা ১৩ লাখ থেকে কমে দাঁড়াবে ৪ লাখ ২৫ হাজারে। বর্তমান সেচ পাম্পগুলো থেকে বছরে ৩০ লাখ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হচ্ছে। রোডম্যাপ বাস্তবায়নের পর বছরে ১২ লাখ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড কম নির্গত হবে।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.