ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় স্যালাইনের সংকট হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
16 April, 2024, 09:40 am
Last modified: 16 April, 2024, 09:42 am
ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে; এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে– সে সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কার্যদিবস সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে; এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে– সে সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা হাসপাতালগুলোকে বলে রেখেছি, এখন চিকিৎসকরা ডেঙ্গু চিকিৎসা সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন। স্যালাইনের যে সংকটের কথা ভাবা হয়েছে, সেটি নিয়েও আমি বৈঠক করেছি। স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না।"

তিনি বলেন, "ঈদের ছুটিতে আমি প্রতিদিনই হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছি। আমি প্রতিটা হাসপাতালে ডাক্তার নার্সদের পেয়েছি। সিনিয়র কনসালটেন্টদেরও পেয়েছি। আমি মনে করি, এই ঈদ এবং নববর্ষের বিশাল ছুটিতে সমগ্র বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবায় কোনো অসুবিধা হয়নি। হাসপাতালের কার্যক্রম ভালোভাবে চলেছে।"

মন্ত্রী বলেন, "বাসাবাড়ি সবকিছু পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে কারও ডেঙ্গু না হয়। সেজন্য আমাদের কাজ করতে হবে।"

এদিকে, একইদিনে মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে অনুষ্ঠিত 'ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির ভবিষ্যত পরিকল্পনা' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত 'অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স'-এর বিষয়টি তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত হলো, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। মানুষ থেকে শুরু করে গ্রামেগঞ্জে পশুপাখির মধ্যেও এটি বিস্তার লাভ করেছে।

বৈশ্বিক স্বাস্থ্যখাতের এই হুমকি মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি সকল খাতকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বিষয়ক গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপের কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।"

ব্র্যাকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, "ব্রেস্ট ক্যান্সার, সার্ভিক্যাল ক্যান্সার ও হাইপারটেনশনের মতো বিষয়গুলোতে আরও বেশি সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। দেশে স্বাস্থ্যখাতে অনেক ভালো কাজ হচ্ছে, কিন্তু এসব ক্ষেত্রে অনেক সময় সমন্বয়ের অভাব দেখা যায়। সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে কাজগুলো করলে মানুষ উপকৃত হবে।"

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সরকারের কাজে যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সহযোগিতা করে আসছে, তাদের মধ্যে ব্র্যাক অন্যতম। 

"তবে এসব কাজে ধারাবাহিকতা ধরে রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। কোনো একটি কর্মসূচি বা প্রকল্প হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়া অবাঞ্চিত। তাই প্রকল্প শুরু করার সময়ই একটি প্রস্থান পরিকল্পনা সঠিকভাবে ডিজাইন করা গুরুত্বপূর্ণ," যোগ করেন তিনি।

 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.