ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে এবার পালিয়ে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের ৩ সেনা

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
30 March, 2024, 01:40 pm
Last modified: 30 March, 2024, 04:37 pm
শনিবার (৩০ মার্চ) ভোরে ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে এই ৩ সদস্য পালিয়ে আসেন। 

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে এবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৩ সদস্য পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে তারা বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন।

শনিবার (৩০ মার্চ) ভোরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। তাদের মধ্যে একজন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মেজর, একজন ক্যাপ্টেন ও অপরজন সার্জেন্ট পদের কর্মরত।

সংবাদ পেয়ে বিজিবি সদস্যরা তাদের সাথে থাকা অস্ত্র জমা নেওয়ার পর তাদের হেফাজতে নেয়। বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের।

স্থানীয়দের দেওয়া এসব তথ্য প্রাথমিকভাবে সত্য বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি জানান, "৩ জন পালিয়ে আশ্রয় নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।"

এ বিষয়ে বিজিবির সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে যোগযোগ করা না গেলেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, "৩ জনকে হেফাজতে নেওয়ার পর বিজিবি সদর দপ্তরে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।"

এর আগে, গত ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন ১৭৯ জন মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ  (বিজিপি) সদস্য। তারাও নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়নে রয়েছেন। তাদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

এরও আগে, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জের ধরে গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে মিয়নমার থেকে পালিয়ে আসে বিজিপিসহ ৩৩০ জন। এরমধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, ৪ জন বিজিপি পরিবারের সদস্য, ২ জন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.