চাকরির আশ্বাসে ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে যুবককে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ১

বাংলাদেশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
29 March, 2024, 10:20 pm
Last modified: 24 April, 2024, 05:40 pm
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, 'গ্রেপ্তার শাকিলের সহযোগীদের সহায়তায় ভুক্তভোগী শাকিল মিয়াকে লিবিয়ায় অপহরণ ও নির্যাতন করা হয়।'

চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় এক বাংলাদেশিকে অপহরণ ও নির্যাতনের মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলার নকুলহাটি বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম মো. শাকিল (২৮)। তিনি ওই উপজেলার বিভাগদী গ্রামের মো. নফেলের ছেলে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকালে এ ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে সালথা থানায় মামলা করে ভুক্তভোগীর পরিবার।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, 'লিবিয়ায় নিয়ে সালথা উপজেলার এক যুবককে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বৃহস্পতিবার বিকালে একটি মামলা করেছেন। শুক্রবার সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ মামলার ৩ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি শাকিলকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।' 

তিনি বলেন, 'গ্রেপ্তার শাকিলের সহযোগীদের সহায়তায় ভুক্তভোগী শাকিল মিয়াকে লিবিয়ায় অপহরণ ও নির্যাতন করা হয়।'

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শাকিল মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ফরিদপুরের সালথার রামকান্তপুর এলাকার মো. শাকিল মিয়া (২৪) নামের এক যুবককে চাকরির আশ্বাসে ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে নির্যাতন করে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত একটি চক্র। এ ঘটনা  বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যেতে চাওয়া বাংলাদেশিদের জন্য অন্যতম বিপজ্জনক গন্তব্য লিবিয়া।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত মোট ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫৩৫ জন ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। এরমধ্যে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি এ রুটে মানবপাচারের শিকার হন। 

গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, লিবিয়ায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চার যুবককে অপহরণ করা হয়েছে। 

অপহরণকারীরা জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং অপহৃতদের নির্যাতন করার ভিডিও তাদের পরিবারের কাছে পাঠিয়েছে।

অপহৃতরা হলেন- ওয়াসিম (২২), বোরহান উদ্দিন (১৯), জাবেদুর রহিম (১৯) ও নাঈম উদ্দিন (২০)।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.