২৯টি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি দোকান মালিক সমিতির

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
19 March, 2024, 06:10 pm
Last modified: 19 March, 2024, 06:39 pm
মঙ্গলবার দোকান মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, “মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম নির্ধারণ করে দেয়া যায় না। এখন ২৯ পণ্যের দর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা এ দামে এসব পণ্যগুলোকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে বিক্রয় করার অনুরোধ জানাই। একই সঙ্গে পণ্যগুলো বিক্রি করে সেই লাভ দিয়েই যেন তাদের কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয়।”
ইনফোগ্রাফ: টিবিএস

২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।

মঙ্গলবার দোকান মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বেঁধে দেওয়া দামকে অযৌক্তিক এবং ধ্বংসাত্মক বলেছেন। 

হেলাল উদ্দিন বলেন, "মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া যায় না। এখন ২৯ পণ্যের দর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা এ দামে এসব পণ্যগুলোকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে বিক্রি করার অনুরোধ জানাই। একই সঙ্গে পণ্যগুলো বিক্রি করে সেই লাভ দিয়েই যেন তাদের কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয়।"

হেলাল আরো বলেন, "হয় তাদের বেঁধে দেওয়া দামে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে পণ্য বিক্রি করতে হবে, না হলে এ প্রজ্ঞাপন স্থগিত করতে হবে। আমরা এ দামে বিক্রি করতে পারবো না। দাম বেঁধে দেওয়াটা অযৌক্তিক, অবাস্তব ও অর্থহীন।"

হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ক্রেতার সন্তুষ্টিই বিক্রেতার কাম্য। "ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম ভোক্তার নাগালের মধ্যে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।"

এ সময় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব জহিরুল হক ভূঁইয়াসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর নিকট ৭ দফা দাবি পেশ করে দোকান মালিক সমিতি। তাদের দাবিগুলো হলো:

১. ২৯ পণ্যের মূল্যনির্ধারণ করে দেওয়া প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত করতে হবে। অন্যথায় ব্যবসা বন্ধ করা ছাড়া তাদের উপায় থাকবে না।

২. বিভিন্ন পণ্যের আমদানি ও উৎপাদনের সঠিক পরিসংখ্যান নিশ্চিত করতে হবে।

৩. ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশর (টিসিবি) সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রাথমিকভাবে পণ্য আমদানি করে বিপণনের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে বোঝা যাবে ব্যক্তি খাতের সঙ্গে সরকারি খাতের পার্থক্য কত।

৪. বাজার ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজাতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসতে হবে।

৫. বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৬. ব্যবসায়ীদেরকে বিভিন্ন সংস্থার চাপমুক্ত অবস্থায় ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে।

৭. নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের ওপর আরোপিত সকল প্রকার কর কমিয়ে সহনশীল পর্যায়ে আনতে হবে।

গত ১৫ মার্চ ২৯টি কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে এ দাম নির্ধারণের কথা জানিয়েছিল সরকারি সংস্থাটি।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.