ফুটওয়্যারের ব্যবসায় নামছেন ক্রিকেটার ও সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান

বাংলাদেশ

02 March, 2024, 08:30 pm
Last modified: 06 March, 2024, 06:18 pm
‘সাকিব আল হাসান ও স্টেপ ফুটওয়্যারের নতুন ব্র্যান্ডকে আমরা গ্লোবাল ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড় করাতে চাই,’ বলেন শামীম কবির।

নন-লেদার ফুটওয়্যারের ব্যবসায় নামছেন তারকা ক্রিকেটার ও সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান।

দেশের নন-লেদার ফুটওয়্যারের বড় প্রতিষ্ঠান স্টেপ ফুটওয়্যারের সঙ্গে যৌথ ‍উদ্যোগে 'এসএএইচ ৭৫' (SAH 75) শীর্ষক নতুন একটি ব্র্যান্ডের মাধ্যমে সাকিবের এ ব্যবসা শুরু হচ্ছে।

স্টেপ ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম কবির বিষয়টি দ্য বিজনেস স্টান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে যৌথ উদ্যোগ এবং নতুন ব্র্যান্ডের নাম ঘোষণা করব। এতে সাকিব ও স্টেপ ফুটওয়্যারের সমান অংশীদারি থাকবে।'

তবে বিনিয়োগের পরিমাণ এ মূর্হতেই প্রকাশ করতে চাননি শামীম কবির।

শামীম কবির বলেন, নতুন ব্র্যান্ডের অধীনে পরিধেয় সামগ্রী উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাত করবে স্টেপ ফুটওয়্যার। সারাদেশে স্টেপ ফুটওয়্যারের ৯৫টি শোরুমে এসব পণ্য পাওয়া যাবে।

কোম্পানির কর্মকর্তারা বলছেন, স্টেপ ফুটওয়্যার নিজেরা এ ব্র্যান্ডের অধীনে কিছু জুতা উৎপাদন করবে। বাকি পণ্য দেশ ও বিদেশ থেকে সংগ্রহ করা হবে। এরপর পণ্যগুলো বিক্রি করা হবে স্টেপের শোরুম থেকে। জুতা, স্যান্ডেল, বুট, ব্যাট, প্যাড, ক্রীড়ার পোশাক ও পরিধেয় নানা সামগ্রী পাওয়া যাবে এ ব্র্যান্ডের অধীনে।

'সাকিব আল হাসান ও স্টেপ ফুটওয়্যারের নতুন ব্র্যান্ডকে আমরা গ্লোবাল ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড় করাতে চাই,' বলেন শামীম কবির।

নরসিংদীতে স্টেপ ফুটওয়্যারের ৩টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার দুটিতে তৈরি হয় ট্রলি, ব্যাগ ও ব্যাকপ্যাক। অপর কারখানায় তৈরি হয় জুতা তৈরির সরঞ্জাম। ৩টি কারখানাতেই পুরোদমে উৎপাদন চলছে। সাকিবের সঙ্গে চুক্তির আওতায় শুধু ফুটওয়্যার কারখানায় জুতা, কিটস, জার্সিসহ নন-লেদার ফুটওয়্যার সামগ্রী উৎপাদন হবে।

কোম্পানির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রথমদিকে স্থানীয় বাজারে শুরু করলেও ভবিষ্যতে বৈশ্বিক বাজারেও পৌঁছাতে চায় নতুন এ ব্র্যান্ডটি।

স্টেপ ফুটওয়্যার ২০২১–২২ অর্থবছরে ৩০ লাখ ডলারের ট্রলি, ব্যাগ ও ব্যাকপ্যাক রপ্তানি করে।

কোম্পানির ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ক্রেতা পিয়ারে কার্ডিন, ওয়াইল্ড ক্রাফট, ক্লেইন টুলস, আমেরিকান গিয়ার ও প্যাকলাইট। ইউরোপের পাশাপাশি আমেরিকা ও ভারত গ্রুপটির অন্যতম বড় বাজার।

নন-লেদার ফুটওয়্যার খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২২–২৩ অর্থবছরে এ খাতের রপ্তানি পৌঁছেছে ৪৮০ মিলিয়ন ডলারে। ফুটওয়্যার রপ্তানিতে বিশ্বে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬তম। শীর্ষস্থান চীনের দখলে।

গত অর্থবছরে এক হাজার ১৮০ মিলিয়ন ডলারের সমমূল্যের লেদার ও নন-লেদার ফুটওয়্যার রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.