গ্রাহকের প্রতারণার শিকার হয় দেশের প্রায় অর্ধেক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম: গবেষণা

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
25 February, 2024, 08:30 am
Last modified: 25 February, 2024, 08:37 am
বাংলাদেশে আড়াই হাজার ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৯৫ শতাংশ ছোট ব্যবসা, ৪ শতাংশ মাঝারি ব্যবসা এবং ১ শতাংশ বড় ব্যবসা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্যান্য ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনাকারী প্রায় অর্ধেক ক্ষুদ্র ব্যবসা গ্রাহকদের প্রতারণার শিকার হয়। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় সানেম-এর ৭ম বার্ষিক অর্থনীতিবিদ সম্মেলনে উপস্থাপিত একটি গবেষণাপত্রের ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

'ইমপ্যাক্ট অভ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অন বিজনেস পারফরম্যান্স অভ স্মল বিজনেস এন্টারপ্রাইজেস ডিউরিং অ্যান্ড পোস্টকোভিড-১৯ পিরিয়ড: দ্য কেস অভ বাংলাদেশ' শীর্ষক গবেষণাপত্রটি সম্মেলনের 'গ্রোথ ডাইনামিক্স' শীর্ষক অধিবেশনে উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী সাইফা সামসাদ পর্শিয়া।

অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'আমরা কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই), বিশেষ করে অনলাইন এসএমই এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের বড় অগ্রগতি দেখেছি। এটাও সমানভাবে সত্য যে অনেক ছোট শিল্প ব্যবসায় টিকে থাকতে পারেনি।'

তিনি আরও বলেন, অনলাইন পণ্য ডেলিভারি পরিষেবাগুলো দ্রুত মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। তবে এটিও সত্য যে [পণ্য] সরবরাহকারীর প্রতিশ্রুতি এবং সরবরাহকৃত পণ্যের গুণমান সম্পর্কে গ্রাহকদের অভিযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, ই-কমার্সের জন্য ইন্টারনেট অ্যাক্সেস এবং ইন্টারনেটের খরচও গুরুত্বপূর্ণ।

পর্শিয়া তার গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশে আড়াই হাজার ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৯৫ শতাংশ ছোট ব্যবসা, ৪ শতাংশ মাঝারি ব্যবসা এবং ১ শতাংশ বড় ব্যবসা।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে পাঁচ লাখের বেশি ফেসবুকভিত্তিক ব্যবসায়িক পেজ রয়েছে যার মধ্যে দুই লাখ বর্তমানে সক্রিয়ভাবে ব্যবসা করছে। বাংলাদেশে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো বার্ষিক ২৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ গবেষক ৫২ জন মানুষের মধ্যে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করেছেন। সেখানে দেখা গেছে, কোভিড-১৯-পরবর্তীসময়ে ছোট ব্যবসার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভরতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

উত্তরদাতাদের প্রায় সাড়ে ৪১ শতাংশ বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট এবং পেজ বুস্ট করা তাদের জন্য উপকারী।

কোভিড-১৯ মহামারির আগে ২৬ দশমিক ৯ শতাংশ উদ্যোক্তা ভেবেছিলেন, লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া উপকারী।

কোভিড-১৯-পরবর্তীসময়ে ১৬ শতাংশ উত্তরদাতা দৃঢ়ভাবে একমত এবং ৩৮ শতাংশ একমত পোষণ করেছেন যে লাইভ স্ট্রিমিং উপকারী।

পর্শিয়া তার গবেষণার তথ্যের বরাত দিয়ে আরও জানান, ২০২০ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবসার গড় দৈনিক লেনদেন ছিল ৪৪ কোটি টাকা। ২০২১ সালের শেষ নাগাদ এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬০০ কোটি টাকায়।

তার গবেষণার অনুসন্ধানের ফলাফল অনুযায়ী, কোভিড-১৯ মহামারির দরুন দেশের অনলাইন ব্যবসার জগতে নতুন যুগে প্রবেশ করেছে।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.