বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতির সিদ্ধান্ত ভারতের

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
19 February, 2024, 09:20 pm
Last modified: 20 February, 2024, 12:05 pm
এর আগে পবিত্র রমজান মাসে দেশের বাজারে দাম কমাতে নির্দিষ্ট পরিমাণে চিনি ও পেঁয়াজ সরবরাহের অনুমতি দিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয় বাংলাদেশ সরকার।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দেশে সরকারিভাবে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।

বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, পেঁয়াজ রপ্তানিতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বার্থে সীমিত পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তবে রপ্তানিকারক সংস্থার বিষয়ে প্রতিবেদনে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

প্রতিবেদনে আরেকটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়, সরকার আরও যে কয়টি দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সেই দেশগুলো হলো- শ্রীলঙ্কা, মরিশাস, বাহরাইন, ভুটান ও নেপাল।

দেশিয় বাজারে দাম বেড়ে যাওয়া ও সম্ভাব্য ঘাটতির কথা মাথায় রেখে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এ কারণে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।

গত বছরের আগস্টে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করায় শিপমেন্ট কমাতে ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের কারণে এটি কাঙ্ক্ষিত প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকার ২৮ অক্টোবর থেকে প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়, যা গত ২৮ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কিছু বড় রপ্তানিকারক রবিবার সরকারকে এক চিঠিতে বলেছেন, পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি নিষেধ না করে সরকারের উচিত সীমিত পরিসরে বহির্মুখী চালানের অনুমতি দেওয়া। বড় পরিসরে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলে দেশিয় বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দাম বেড়ে যেতে পারে।

এর আগে পবিত্র রমজান মাসে দেশের বাজারে দাম কমাতে নির্দিষ্ট পরিমাণে চিনি ও পেঁয়াজ সরবরাহের অনুমতি দিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয় বাংলাদেশ সরকার।

৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে এক বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, 'আমরা ভারত থেকে যে পেরিশেবল বা পচনশীল আইটেমগুলো আমদানি করি, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। রমজানের আগে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ এবং এক লাখ টন চিনি যাতে আমরা পাই, সে সব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।'

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পীযূষ গয়ালকে রমজান পর্যন্ত বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।

পীযূষ গয়াল বলেন, ভারত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তার অনুরোধের বিষয়ে আশ্বস্তও করেন।

ভারতের মন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্ক আরও উন্নত করার ওপরও জোর দেন।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.