রাজশাহীতে অজানা ভাইরাসে দুই শিশুর মৃত্যুর পর বাবা-মাও হাসপাতালে আইসোলেশনে
বাংলাদেশ
রাজশাহীতে অজানা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর পরে তাদের বাবা-মাকেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিপাহ আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তবে তাদের শরীরে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি।
মৃত দুই শিশুর নাম মুনতাহা মারিশা ও মুফতাউল মাশিয়া। এদের মধ্যে মারিশার বয়স ২ বছর, আর মাশিয়ার বয়স ৫ বছর।
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামের মনজুর রহমান মৃত দুই শিশুর বাবা। মনজুর রহমান পেশায় রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক। তার স্ত্রীর নাম পলি খাতুন। পরিবারের সবাই রাজশাহীর চারঘাটের সারদায় ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারে থাকতেন।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, গত মঙ্গলবার কোয়ার্টার প্রাঙ্গনে কুড়িয়ে পাওয়া বরই খেয়েছিল মারিশা আর মাশিয়া। পরে গত বুধবার মারিশার জ্বর ও বমি হয়। পরে তাকে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টের সিএমএইচে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর গত শুক্রবার মাশিয়ারও জ্বর এলে তাকেও সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। জ্বরের পরে মাশিয়ারও পুরো শরীরে ছোট কালো দাগ উঠতে থাকে। চিকিৎসকেরা তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠান। শুক্রবার রাতেই রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় মাশিয়াকে। শনিবার বিকালে সে-ও মারা যায়। পরে শিশুদের বাবা-মাকে হাসপাতালের নিপাহ আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
শনিবার বিকালে স্বজনদের মাধ্যমে মাশিয়ার মরদেহ বাড়িতে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়িতে মরদেহ দাফন করা হয়। গত বুধবার মারিশার লাশও দাফন করা হয়েছে।
রামেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের ইনচার্জ সহকারী অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল নুপুর বলেন, অবশ্যই কোনো ভাইরাসের কারণে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দুই বোনের ক্ষেত্রে একই উপসর্গ দেখা গেছে। প্রথমে প্রচণ্ড জ্বর; সেটা ১০৩ ডিগ্রি, ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত। জ্বরের পর বমি ও তারপর গায়ে র্যাশ উঠতে দেখা যায়। আমরা ভাইরাসটাকে শনাক্ত করতে পারিনি। নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মূল বিষয়টি জানা যাবে।
তিনি বলেন, শিশু দুটির বাবা-মাকে নিপাহ আইসোলেন ওয়ার্ডে রাখা আছে। তবে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি। তারা ভালো আছেন।
Comments
While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.