এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থপাচার অভিযোগের অনুসন্ধান নিয়ে হাইকোর্টের রুল খারিজ আপিল বিভাগে

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
05 February, 2024, 03:20 pm
Last modified: 05 February, 2024, 03:25 pm
তবে সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, 'দুর্নীতি দমন কমিশন ও বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট মনে করলে এ বিষয়ে তারা অনুসন্ধান করতে পারবে।'

এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, সেই আদেশ খারিজ করে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

একইসঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানের অর্থ পাচার ঠেকাতে বিএফআইইউ, দুদক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট যে রুল জারি করেছিলেন, সেটিও খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ।

তবে সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, 'দুর্নীতি দমন কমিশন ও বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট মনে করলে এ বিষয়ে তারা অনুসন্ধান করতে পারবে।'

হাইকোর্টের আদেশ বাতিল চেয়ে এস আলম গ্রুপের চেযারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও পরিচালক ফারজানা পারভীনের আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি)  প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রায় দেন। 

আদালতে এস আলম গ্রুপের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসি ও সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। অপরদিকে শুনানি করেন এস আলমের খবরটি আদালতের নজরে আনা আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

গত বছরের ৪ আগস্ট একটি ইংরেজি দৈনিকে এস আলমের অর্থ পাচার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে একই বছরের ৬ আগস্ট প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন। ওই সময় প্রতিবেদন দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।

পরে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে অর্থ পাচার ঠেকাতে বিএফআইইউ, দুদক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

তবে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল করেন এস আলম মালিক সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন। শুনানি শেষে গত ২৩ আগস্ট হাইকোর্টের আদেশের ওপর ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার জজ বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম। এরপর গত ৮ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানি হয়। আপিল বিভাগ এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন। সেইসঙ্গে স্থিতাবস্থার মেয়াদও ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.