চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

বাংলাদেশ

ইউএনবি
23 January, 2024, 11:35 am
Last modified: 23 January, 2024, 12:05 pm
২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। আর ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি এ যাবৎকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গায় এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমে জেলার ও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। 

হাড় কাঁপানো শীত ও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনপদ। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এদিকে তীব্র শীতে আজ জেলার সকল মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২২ জানুয়ারি) এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন রাত ৯টায় তাপমাত্রা ছিল ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের ব্যবধানে জেলার তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছে ৬.৬ ডিগ্রিতে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, 'আজ সকাল ৬টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় রেকর্ড করা হয় ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।'

তিনি আরও বলেন, এর আগে ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আর ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি এ যাবৎকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে তীব্র শীত ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহে চুয়াডাঙ্গার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা শিক্ষা অফিস। তবে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে খোলা রয়েছে কিন্ডারগার্টেন ও প্রি-ক্যাডেট স্কুল।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান বলেন, 'গত সোমবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে কথা বলে তাপমাত্রা আরও কমার পূর্বাভাস পাওয়ায় খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালকের নির্দেশে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ (মঙ্গলবার) বন্ধ রয়েছে।'

চুয়াডাঙ্গা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান বলেন, 'তীব্র শীতের কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা মাথায় রেখে বিদ্যালয়গুলোর পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিক্ষকরা স্কুলে উপস্থিত হয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম চালাবেন।'
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.