ইসিতে হাজির হয়ে নির্বাচন বিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা দিলেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট 
15 January, 2024, 05:20 pm
Last modified: 15 January, 2024, 05:23 pm
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন প্রকাশ্যে ভোট দেয়ায় জামালপুর-২ আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও মন্ত্রী ফরিদুল হক খানকে শোকজ করে নির্বাচন কমিশন। গত ১১ জানুয়ারি তাঁকে কারণ দর্শানোর এই নোটিশ দেয় ইসি।

৭ জানুয়ারি নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল।

ইসিকে বিষয়টি কমিশনকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধও করেছেন তিনি।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে ইসিতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "বাংলাদেশের সরকার, আইন, সংবিধান রয়েছে, সবকিছু রয়েছে এবং আমি আইনে ঊর্ধ্বে নই। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তাই বিধান অনুসারে, নির্বাচন কমিশন আমাকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। আমি উপস্থিত হয়েছি এবং আমি ব্যাখ্যা দিয়েছি কমিশনের কাছে।" তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেও জানান।

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন প্রকাশ্যে ভোট দেয়ায় জামালপুর-২ আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও মন্ত্রী ফরিদুল হক খানকে শোকজ করে নির্বাচন কমিশন। গত ১১ জানুয়ারি তাঁকে কারণ দর্শানোর এই নোটিশ দেয় ইসি।

শোকজ নোটিশে বলা হয়, ফরিদুল হক ভোটগ্রহণের দিন সিরাজাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট দিয়েছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছবিসহ ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৮৩ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এবিষয়ে আজ ফরিদুল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, "আমার যতটুকু বিশ্বাস মেজর কোনো অপরাধ যদিওবা হয়ে থাকে, তারপরেও আমি বলেছি, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। অতএব ক্ষমাশীল দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রেখে, আমি আমার কথা শেষ করে চলে এসেছি। কমিশন বলেছেন, আমরা দেখবো বিষয়টা। এটা এখন তাদের বিষয়।"

এই কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ বিব্রত কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগ বিব্রত নয়, কেউ বিব্রত নয়।"

প্রকাশ্যে ভোট দেওয়া কি আপনার অপরাধ ছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "যতটুকু বলার আমি আপনাদের বলেছি। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার কোনো সুযোগ নেই এখানে।"

 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.