এ মাস থেকেই গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেওয়া শুরু করার প্রতিশ্রুতি ইভ্যালির

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট 
14 January, 2024, 10:30 am
Last modified: 14 January, 2024, 03:33 pm
এছাড়াও আগামী মে মাস থেকে চেকসহ পুরনো সকল দেনার টাকা পরিশোধ করা শুরু করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই সিইও।

দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি চলতি জানুয়ারি মাস থেকে গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ফেরত দিতে শুরু করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে ইভ্যালির প্রধান কার্যালয় ধানমন্ডি থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মাদ রাসেল। তিনি বলেন, 'আমরা এই মাসে গেটওয়েতে আটকে থাকা গ্রাহকের টাকা ফেরত দেব।'

এছাড়াও আগামী মে মাস থেকে চেকসহ পুরনো সকল দেনার টাকা পরিশোধ করা শুরু করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই সিইও।

রাসেলের তথ্যমতে, বর্তমানে গ্রাহকদের কাছে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা এবং বিপণনকারীদের কাছে ১৫০ কোটি টাকার দেনা রয়েছে তার কোম্পানির। তিনি জানান, তার কোম্পানি ইতোমধ্যেই ৯ কোটি টাকা রিফান্ড করেছে।

এ ঋণের জন্য রাসেল জনসমক্ষে ক্ষমাও চান। তিনি বলেন, 'ভোগান্তির জন্য আমি দেশবাসী, গ্রাহক ও সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী…মিডিয়ার বিজ্ঞাপনের দেনাও আমরা পরিশোধ করব, ধীরে ধীরে সব ধরনের দেনাই আমরা পরিশোধ করব।'

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাসেল বলেন, 'সম্প্রতি নতুন উদ্যমে যাত্রা শুরুর প্রথম দিন থেকেই গ্রাহক ও মার্চেন্ট থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে ইভ্যালি। প্রথম ক্যাম্পেইনে আমরা ৮০ হাজার অর্ডারের বিপরীতে দুই লক্ষাধিক পণ্যের অর্ডার পেয়েছি।'

তিনি বলেন, 'আমরা চলতি মাসে গেটওয়েতে থাকা গ্রাহকের টাকা ফেরত দেব এবং মুনাফার টাকা দিয়ে আগামী মে মাস থেকে চেকসহ পুরাতন সকল দেনার টাকা পরিশোধ করতে শুরু করব। অর্ডারের ক্রমানুযায়ী সকল গ্রাহকের মূল টাকা ধাপে ধাপে পরিশোধ করা হবে।' 

তিনি আরো বলেন, 'ইভ্যালির নতুন ব্যবসায়িক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সকল পণ্য সিওডিতে (ক্যাশ অন ডেলিভারি) দিচ্ছি। আগে গ্রাহকরা পণ্য পাওয়ার আগেই সরাসরি ইভ্যালিকে টাকা পরিশোধ করত। কিন্তু এবার ক্যাশ অন ডেলিভারি হওয়ায় গ্রাহকের কোনো ঝুঁকি নেই।'

ইভ্যালি ঋণের বোঝায় জর্জরিত। কারণ এটি পণ্যের উপর বিভিন্ন ডিসকাউন্ট অফার করে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ নিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু সময়মতো পণ্যের ডেলিভারি করতে পারেনি। এছাড়াও ইভ্যালির অনেক গ্রাহকের টাকা বিভিন্ন পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মে আটকে গেছে।
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.