কেন ভোট কম, ব্যাখ্যা দিলেন ভারত থেকে আসা পর্যবেক্ষক অমিতাভ রায়

বাংলাদেশ

ডয়েচে ভেলে
08 January, 2024, 12:55 pm
Last modified: 08 January, 2024, 01:10 pm
পর্যবেক্ষকরা দেশে ফিরে গিয়ে একমাসের মধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে তাদের প্রতিবেদন দেবেন।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ঢাকায় নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে ভারত থেকে এসেছিলেন সাবেক আমলা অমিতাভ রায়। ফোনে তার সাথে কথা হয় ডয়েচে ভেলের। তিনি জানিয়েছেন, গতকাল রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কেন্দ্র থেকে শুরু করে আরো অনেকগুলো জায়গায় ঘুরেছেন। ভোটকেন্দ্রের অবস্থা দেখেছেন। তার প্রথমেই যে বিষয়টি মনে হয়েছে, তা হলো, ভোট অনেক কম পড়েছে। একটি ভোটকেন্দ্রে ভোটদাতাদের সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৩৩৭ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত সেখানে ভোট পড়েছিল মাত্র ২৯২টি।

ভোট কম পড়ার পেছনে অমিতাভ তিনটি কারণের কথা বলেছেন। 'প্রথমত; এবার নির্বাচনের ফলাফল আগে থেকে স্পষ্ট হয়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে ভোট দেওয়ার বিশেষ তাগিদ ছিল না। দ্বিতীয়ত; সকাল থেকে বেশ ঠাণ্ডা ছিল এবং তৃতীয়ত; মূলত নতুন ভোটাররা ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখিয়েছে।'

তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে 'এবার এক কোটি ৫৪ লাখ নতুন ভোটারের নাম তালিকায় উঠেছে। তারাই ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশি উৎসাহী ছিল।'

ভারতের সাবেক আমলা অমিতাভ রায়। ছবি: ডয়েচে ভেলে

অমিতাভ বলেছেন, 'মোট ১৫৭ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক ছিলেন। তার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ভারত থেকে তিনজন এসেছেন। অন্য কিছু সংগঠনের আমন্ত্রণেও কেউ কেউ এসেছিলেন। আর বিদেশ থেকে সাংবাদিক এসেছিলেন ৭১ জন।'

অমিতাভ জানিয়েছেন, তিনি যেসব কেন্দ্রে ঘুরেছেন, সেখানে রিগিং বা ছাপ্পা ভোট নিয়ে কোনো অভিযোগ ছিল না। তার চোখেও সেরকম কিছু পড়েনি। ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্রচুর ভিড় ছিল। ভিতরে ভোট কম পড়লেও বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন অনেক মানুষ।

পর্যবেক্ষকরা দেশে ফিরে গিয়ে একমাসের মধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে তাদের প্রতিবেদন দেবেন। তখন অবশ্য নির্বাচনপর্ব অনেকটাই পুরনো হয়ে যাবে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে এখন পর্যন্ত একটাই মন্তব্য করেছে। সেটি হলো, 'বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের ঘরোয়া বিষয়। বাংলাদেশের নাগরিকেরা ঠিক করবেন, কাকে নির্বাচিত করবেন।'

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.