বছরের প্রথম দিন যশোর-মোংলা লাইনে ট্রেন চালু হচ্ছে না

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
01 January, 2024, 10:50 am
Last modified: 01 January, 2024, 02:14 pm
গত ৬ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে খুলনা-যশোর-মোংলা লাইনে ১ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। ৭০০ আসনের ট্রেনের সময়সূচিও জানিয়েছিলেন তিনি।

নতুন বছরের প্রথম দিন কনস্ট্রাকশন অব খুলনা-মোংলা পোর্ট রেললাইন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত লাইনে বাণিজ্যিক রেল সেবা চালু হচ্ছে না। এছাড়াও ঢাকা-কক্সবাজার অংশে নতুন একটি আন্তনগর ট্রেন চালুর সিদ্ধান্তটিও কার্যকর হচ্ছে না।

রেলপথ মন্ত্রণালয় বলছে, প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা রেলপথ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের কাছে হস্তান্তর না হওয়ায় খুলনা-যশোর-মোংলা লাইনে ট্রেন পরিচালনা শুরু করা যাচ্ছে না।

এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে খুলনা-যশোর-মোংলা লাইনে ১ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। ৭০০ আসনের ট্রেনের সময়সূচিও জানিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম লাইনে একটি নতুন আন্তনগর ট্রেনের সময়সূচিও ঘোষণা করেছিলেন মন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেছিলেন, নতুন ট্রেন পরিচালনার এই প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর অফিসে পাঠানো হয়েছে। তার অনুমোদন পাওয়া সাপেক্ষে ট্রেন পরিচালনা করা হবে।

ঘোষণা অনুযায়ী ট্রেন পরিচালনা শুরু না করার কারণ জানতে রেলমন্ত্রীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক ট্রাফিক (পরিবহন) মো. মিজানুর রহমান বলেন, 'ঢাকা-কক্সবাজার লাইনে নতুন ট্রেন পরিচালনা এই মুহূর্তে শুরু করা যাচ্ছে না। আর খুলনা-যশোর-মোংলা লাইনে ট্রেন পরিচালনার নির্দেশনা রেলওয়ে পশ্চিম জোনে পাঠানো হেয়েছে। লোকোমোটিভ, কোচ ও জনবলের প্রাপ্যতা অনুযায়ী তারা নতুন ট্রেন চালু করবে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, প্রকল্প থেকে এখনও রেললাইন বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। লাইন বুঝে পাওয়ার আগে ট্রেন চালু করা সম্ভব নয়।

জানতে চাইলে প্রকল্পটির পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, 'লাইনে ঠিকাদারের কিছু কাজ এখনও বাকি। কাজ শেষ হলে ট্রেন পরিচালনা শুরু করা যাবে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ট্রেন চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলেও মনে করেন তিনি।

মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ চালু করে অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক বাণিজ্যে গতি বাড়াতে ২০১০ সালে নেওয়া এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৩ সালে। কিন্তু কয়েক দফায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

শুরুর দিকে প্রকল্পটির ব্যয় এক হাজার ৭২১ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও এখন এর ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২২৬ কোটি টাকা।

গত বছরের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের আওতায় নির্মিত রেলপথের উদ্বোধন করেন।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.