বিদেশে এক মন্ত্রীর সম্পদমূল্য ১৬ কোটি ৬৪ লাখ পাউন্ড: টিআইবি 

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
26 December, 2023, 06:10 pm
Last modified: 27 December, 2023, 10:55 pm
ওই মন্ত্রী তাঁর হলফনামায় এ তথ্য সংযুক্ত করেননি বলে জানায় টিআইবি।

সরকারের একজন মন্ত্রীর বিদেশে ব্যবসার তথ্য প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বিদেশে তাঁর মোট সম্পদমূল্য ১৬ কোটি ৬৪ লাখ পাউন্ড (২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা) বলে দাবি করেছে। তবে মন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেনি সংস্থাটি।

নাম না প্রকাশের বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, "সরকারি কোনো সংস্থা- যেমন নির্বাচন কমিশন বা দুদক চাইলে আমরা তাদেরকে এ তথ্যও দেব।" 

ওই মন্ত্রী তাঁর হলফনামায় এ তথ্য সংযুক্ত করেননি বলে জানায় টিআইবি।

টিআইবি বলেছে, "প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া আয় ও সম্পদের অথবা ঋণ ও দায় বিবরণী কতোটা সঠিক, এবং আয় ও সম্পদ কতোটা বৈধ উপায়ে অর্জিত তা যাচাই করা হয় না। হলফনামায় প্রার্থীরা নিজেদের অর্জিত সম্পদ কতোটা দেখিয়েছেন? পুরোটা দেখিয়েছে কিনা? কিংবা দেশে বা বিদেশে সম্পদ ধারনের তথ্য গোপন করেছেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।"

টিআইবি তাদের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানিয়েছে, "সরকারের মন্ত্রিসভার অন্তত একজন সদস্যের নিজ নামে বিদেশে একাধিক কোম্পানি থাকার প্রমাণ রয়েছে, যার প্রতিফলন হলফনামায় নেই। মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর মালিকানাধীন ছয়টি কোম্পানি এখনও বিদেশে সক্রিয়ভাবে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা পরিচালনা করছে।" 

এরমধ্যে বিদেশে প্রথম কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ২০১০ সালে, এটির সম্পদমূল্য ১ কোটি ৭৩ লাখ পাউন্ড। এরপর ২০১৬ সালে স্থাপন করা দ্বিতীয় কোম্পানির সম্পদমূল্য হলো ৭ কোটি ৩১ লাখ পাউন্ড। তৃতীয় কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ২০১৯ সালে, যার সম্পদমূল্য ২ কোটি ৭৯ লাখ পাউন্ড। 

২০২০ সালে স্থাপন করা হয় চতুর্থ কোম্পানি, এটির সম্পদমূল্য ২ কোটি ১৫ লাখ পাউন্ড। ২০২১ সালে পঞ্চম ও ষষ্ঠ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, এ দুটি প্রতিষ্ঠানের সম্পদমূল্য ৩ কোটি ২২ লাখ পাউন্ড। 

 

 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.