সাতক্ষীরার ৪ আসনের তিনটিতেই স্বতন্ত্র
সাতক্ষীরার চারটি আসনের তিনটিতেই স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন আ.লীগ প্রার্থীরা। এরই মধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তারা।
সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে আ.লীগের নৌকার টিকিট পেয়েছেন কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন। এবার এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়বেন জেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান, জেলা আ.লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সৈনিক লীগের সহ-সভাপতি সরদার মুজিব।
প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান জানান, "যেহেতু দলের পক্ষ থেকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করায় কোন বিধিনিষেধ নেই, সেকারণে আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি।"
সরদার মুজিব বলেন, "যেহেতু স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে নিষেধ নেই। তাই সাতক্ষীরা-১ আসনে প্রার্থী হবো।"
সাতক্ষীরা-২ (সাতক্ষীরা সদর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সদর উপজেলার সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু। এ আসনের দু'বারের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। তিনি মনোনয়ন পাননি। তাই এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চান।
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, "কর্মীরা যেহেতু চাচ্ছে, আমি নির্বাচন করি। তাই তাদের কথামতো আমি নির্বাচন করতে ইচ্ছুক।"
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি, দেবহাটা ও কালিগঞ্জের একাংশ) আসনে চতুর্থবারের মতো আ.লীগের প্রার্থী হয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক। এ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন এবিএম মোস্তাকিম। তিনি আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-কালিগঞ্জের একাংশ) আসনের আ.লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন শ্যামনগর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন।
এ আসনে দলীয় টিকিটবঞ্চিত হয়েছেন ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এস.এম জগলুল হায়দার। তবে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন না বলে জানা যাচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদি। তিনি বলেন, "যেহেতু কেন্দ্র থেকে আসনগুলো উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে, তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
এছাড়াও আ.লীগের আরও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা এখনো নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেননি।