নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করেছে সরকার।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'জনস্বার্থে' এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী দেশের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) এরও চেয়ারম্যান। প্রতিষ্ঠানটি সুশাসন, দুর্নীতি, মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করে।
প্রতিষ্ঠানটির কিছু ভাষ্যকে সরকার-বিরোধী বলে মনে করেন অনেকে।
এক মাসে আগে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর মঞ্জুর আহমেদ বলেছিলেন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে যাঁরা বালি উত্তোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গে চাঁদপুরের একজন নারী মন্ত্রীর সম্পর্ক আছে।
বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি সরাসরি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির নাম উল্লেখ না করে তাঁর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, মেঘনায় দল বেঁধে হায়েনারা হামলে পড়েছে। আবার বালু তোলার চেষ্টা চলছে। এখানে শত শত ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হবে। এতে নদীর ক্ষতি হবে, মাছের ক্ষতি হবে, পরিবেশের ক্ষতি হবে। এদের থেকে নদীকে রক্ষা করা যাচ্ছে না।
তারও আগে গত বছর তিনি বলেছিলেন, অব্যাহতভাবে নদীদুষণ করায় ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র ও ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকে জেলে পাঠানো উচিত।
২০২২ সালে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে তিনি বলেছিলেন, প্রতিদিন ঢাকা শহরের মানুষ ৫০ লাখ কেজি মল ও ১৫০ কোটি লিটার মূত্র উৎপাদন করে। ঢাকা ওয়াসার দায়িত্ব ছিল এগুলো শোধন করা, কিন্তু এগুলো সিটি করপোরেশনের পানিনিষ্কাশন নালার মাধ্যমে নদ-নদীতে গিয়ে পড়ে। পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ঢাকা ওয়াসার এই ব্যর্থতার কারণে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে চান বলে উল্লেখ করেছিলেন মনজুর আহমেদ চৌধুরী।