মনে হয় আমরা রাজতন্ত্রে বাস করছি, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে ফখরুল
গত ৬ অক্টোবরের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, দেশের উন্নয়ন কাজ নিয়ে ক্রমাগত সমালোচনা করা হচ্ছে। নিন্দুকদের উদ্দেশ্যে তার মন্তব্য ছিল, "বেশি কথা বললে, সব বন্ধ করে বসে থাকবো। নির্বাচনের পরে, যদি আসতে পারি আবার করবো। দেখি কে দায়িত্ব নিতে রাজি হয়। সব রেডি করে দিয়েছি, এখন বসে বসে বড় বড় কথা বলে।"
প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'কথা শুনলে মনে হয় আমরা একটা রাজতন্ত্রে বাস করেছি। এই দেশটার মালিক মনে হয় শেখ হাসিনা।'
আজ সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বর্তমান সরকারের পতনে তার দলের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন বিএনপি মহাসচিব। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি অবিচল থাকবে বলেও জানান।
সমবেত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে ফখরুল বলেন, 'সাজা দিয়ে আমাদের কি রুখে দেয়া যাবে?' – নেতা-কর্মীরা বলেন 'না'। তখন মহাসচিব বলেন, 'বিএনপি একটি ফিনিক্স পাখির মতো। এই সরকারকে পরাজিত না করে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করে কেউ ক্ষান্ত হবে না।'
'প্রধানমন্ত্রী এখন বলেছেন, তার হাতে কিছু নেই! আদালতের কথা বলেন। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে এ দেশের মানুষ এ সরকারকেই দায়ী করবে'- বলেন তিনি।
গণতান্ত্রিক ধারা পরিত্যাগ করে আওয়ামী লীগ একটি কর্তৃত্ববাদী শক্তি হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, 'এই আওয়ামী এখন কোন রাজনৈতিক দল নয়। এরা আর মানুষের দল নয়।'
সমাবেশে তার বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকার দানবীয় সরকার। কারণ মানবতা নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই।'
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
সোমবার দুপুর দুইটায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও, তা বেলা সাড়ে ৩টায় শুরু হয়। দুপুরের পর থেকেই নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে ওঠে। এসময় আশেপাশের এলাকায় যানজটও তৈরি হয়।