অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থপাচার মামলায় পি কে হালদারের ২২ বছরের কারাদণ্ড

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
08 October, 2023, 01:40 pm
Last modified: 08 October, 2023, 02:34 pm
মামলার বাকি ১৩ আসামিকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার মামলায় গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার, ওরফে পি কে হালদারের ২২ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৮ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার বাকি ১৩ আসামিকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এই ১৩ আসামি হলেন- লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায়, স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারী, সুকুমার মৃধা, এবং মো. অনিন্দিতা মৃধা।

অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা ইতিমধ্যে কারাগারে রয়েছেন।

উল্লেখ্য,  চলতি বছরের ১৪ মে সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অশোকনগরে পি কে হালদার সহ পাঁচজনকে আটক করা হয়।

পিকে হালদারসহ আরও পাঁচজনকে চলতি বছরের ১৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অশোকনগরে আটক করা হয়।

গত বছরের ১ মার্চ যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান পিকে হালদার।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পিকে হালদারের কাছে এ সময় দুটি পাসপোর্ট ছিল– একটি বাংলাদেশি এবং আরেকটি কানাডিয়ান। তবে তিনি ভারতে যাওয়ার জন্য তার বাংলাদেশি পাসপোর্টই ব্যবহার করেছিলেন।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (আইএলএফএসএল)-এর ৩৫০ কোটি টাকার বেশি পাচারের অভিযোগে পিকে হালদারসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করে দুদক।

মামলার নথির অনুযায়ী, পিকে হালদার কানাডায় প্রায় ৮০ কোটি টাকা পাচারের পাশাপাশি প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.