সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সহায়তার উপর নির্ভর করতে হবে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, "নির্বাচন যেন অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর হয়, সে জন্য আমাদের প্রয়াসের কেনো ঘাটতি থাকবে না। আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সহায়তার উপর নির্ভর করতে হবে।"
শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আওতাধীন মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে একথা বলেন সিইসি। সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রথমবার সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করল কমিশন।
সিইসি বলেন, "আমরা বারবার করে বলেছি যে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক বলতে আমরা জানি যে ভোটাররা ব্যাপক সংখ্যায় আসবে। এ রকম বিষয়ে আপনাদের যে দায়িত্ব রয়েছে এবং নেই সেটাও আমরা পরিষ্কারভাবে জানাতে চেষ্টা করব। আপনাদের যে দায়িত্ব থাকবে সেটা যেন প্রতিপালিত হয়, সে বিষয়ে আমাদের দিক থেকে দৃঢ় নির্দেশনা থাকবে।"
তিনি যোগ করেন, "আমরা বারবার করে ব্যক্ত করেছি যে, আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হয় সেই লক্ষ্যে আমাদের প্রয়াসের কোনো রকম ঘাটতি থাকবে না। আমাদের আন্তরিকতায় বিন্দুমাত্র ঘাটতি থাকবে না।"
এদিকে সভা শেষে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের জানান, মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের কাছে মাঠের বিভিন্ন বিষয় জানতে চেয়েছেন।
"কমিশন প্রধানত জানতে চেয়েছে নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রস্তুতি এই মুহূর্তে কেমন আছে। ভোটকেন্দ্র নির্বাচন, ভোটার তালিকা ইত্যাদি বিষয়গুলো জানতে চেয়েছেন এবং তাদের সামনে কোন সমস্যা আছে কিনা…এসব সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন অবগত হয়েছেন এবং সে অনুযায়ী কমিশন বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন।"
তিনি যোগ করেন, "মাঠে কোন ধরনের সংকটের কথা বলেনি মাঠ কর্মকর্তারা...তবে এখন থেকে তারা আইন শৃঙ্খলা সহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল দিক গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। সামনের দিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা দরকার তারা সেটা কামনা করেছেন।"
তফসিলের পর যাতে সবাই আচরণবিধি মেনে চলে, এই বিষয়ে তারা সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন, বলেন অশোক কুমার।