চট্টগ্রামে পুলিশ হেফাজতে দুদকের সাবেক উপ-পরিচালকের মৃত্যু
![](https://www.tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/10/04/acc_official_0.jpg)
চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানায় পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে একটি সিআর মামলার ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে শহিদুল্লাহকে নগরীর বহদ্দার হাটের এক কিলোমিটার এলাকায় তার নিজ বাসা থেকে থানায় নিয়ে আসা হয় বলে নিশ্চিত করেন চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খাইরুল ইসলাম।
ওসি আরও জানান, "সাবেক সরকারি কর্মকর্তা জেনে আমার রুমে বসানো হয়। কিন্তু হঠাৎ তিনি অসুস্থবোধ করেন। উপস্থিত তার পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত পার্কভিউ হাসপাতালে নিলে রাত ১২ টার দিকে মারা যান। সম্ভবত তিনি হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন।"
এদিকে শহিদুল্লাহর সন্তানদের দাবি, তাদের বাবাকে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। থানায় আনার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাকে ইনহেলার নিতে দেওয়া হয়নি।
সৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লার পরিবারের সদস্যরা জানান, ৬৭ বছর বয়সী শহিদুল্লাহর বাইপাস সার্জারি হয়েছিল। পরবর্তীতে ডাক্তার হার্টে রিং পরানোর পরামর্শ দিলেও শারীরিক অবস্থা অনুকূলে না থাকায় তা পরানো যায়নি।
শহিদুল্লাহর ছেলে নাফিস শহিদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "চান্দগাঁও থানার দুজন এএসআই ইউসুফ এবং সোহেল আমার বাবাকে আমাদের নিজ বাসা থেকে থানায় নিয়ে আসে। থানায় আনার পর কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেয়। তিনি হার্টের রোগী। তার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করে পুলিশ। আমার বাবাকে হার্টের ওষুধ ও ইনহেলার দেওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশ তা দিতে দেয়নি। সেখানেই অবস্থার অবনতি হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।"
"পরবর্তীতে পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান হাসপাতালে আনার আগেই বাবার মৃত্যু হয়েছে," বলেন তিনি।
নাফিস শহিদ টেলিফোনে টিবিএসকে আরও বলেন, "আমার বাবার সাথে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে এমন আচরণ করেছেন। আমরা এই ঘটনায় আইনী পদক্ষেপ নেব।"
শহিদুল্লার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধ ছিল তাদের। তবে সাম্প্রতিক কোনো মামলার বিষয়ে তারা শোনেননি।এমনকি আদালত থেকে কোনো নোটিশও তারা পাননি।