পরিবার নিয়ে মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় চেয়েছেন বরখাস্ত ডিএজি এমরান
![](https://www.tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/09/08/imran_ahmed_bhuiyan.jpg)
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইস্যুতে বিতর্কিত মন্তব্য করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া আজ শুক্রবার আশ্রয় চেয়ে পরিবারসহ মার্কিন দূতাবাসে গেছেন।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ইমরান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'শুক্রবার দূতাবাস বন্ধ থাকায় আমরা এখন রিসেপশন এরিয়ায় অপেক্ষা করছি।'
মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'এই মুহূর্তে আমাদের কাছে দেওয়ার মতো কোনো তথ্য নেই।'
এর আগে বিকেলে এমরান ইংরেজি সংবাদপত্র দ্য ডেইলি স্টারকে একটি খুদে বার্তার মাধ্যমে মার্কিন দূতাবাসে যাওয়ার কথা জানান।
ওই খুদে বার্তায় এমরান বলেন, 'আমি মার্কিন দূতাবাসে আজকে পুরো পরিবারসহ আশ্রয়ের জন্য বসে আছি। বাইরে পুলিশ। আজকে আমাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। …আমার ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে গত ৪-৫ দিন যাবত অনবরত হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। এই সরকার ভালবাসার প্রতিদান দেয় জেল দিয়ে।
'আমার আমেরিকার কোনো ভিসা নেই। স্রেফ ৩টা ব্যাগে এক কাপড়ে আমার ৩ মেয়েসহ কোনোক্রমে বাসা থেকে বের হয়ে এখানে বসে আছি। দোয়া করবেন আমাদের জন্য।'
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া জানান, নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম বন্ধ করতে বিশ্বের ১৭০ বিশিষ্ট ব্যক্তি যে চিঠি দিয়েছেন, তার প্রতিবাদে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের বিবৃতিতে তিনি সই করবেন না।
ড. ইউনূসকে 'বিচারিক হয়রানি' করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থেকেছেন বলে জানান এই সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।
এর পরদিন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি ছাড়া ড. ইউনূসের পক্ষে মন্তব্য করে ইমরান শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।
এদিকে, শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে বরখাস্ত করা হয়েছে।