রংপুরে জামায়াতের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, আটক ৮

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
05 August, 2023, 08:00 pm
Last modified: 05 August, 2023, 08:05 pm
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার উৎপল কুমার রায় জানান, ‘মেট্রোপলিটন এলাকায় জামায়াত বিশৃঙ্খলা ঘটাতে বিনা-অনুমতিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে তা ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে আমরা ৮ জনকে গ্রেফতার করেছি। গ্রেফতার অভিযান এখনো চলছে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আমিরসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে রংপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিলে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এতে দলটির ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়, আর ৮ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জামায়াতে ইসলামী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও জামায়াতের আমীর শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে এ মিছিল করে জামায়াত।

শনিবার (৫ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে রংপুর মহানগরীর সিটি বাজার এলাকায় মিছিলে লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহানগর জামায়াতের আমির এ টি এম আজম খানের নেতৃত্বে বাজার এলাকায় একটি বিক্ষোভ বের করে মহানগর জামায়াত। হঠাৎ শ্লোগানে পথচারীরা বিস্মিত হন। এরইমধ্যে ওই মিছিলে যোগ দেয় ভাঙ্গা মসজিদ এলাকা থেকে আরো অনেক নেতাকর্মী। মিছিলটি সুপার মার্কেট মোড়ের ট্রাফিক বক্সের সামনে আটকে দেয় পুলিশ। এসময় নেতার্মীরা পিছু হটার চেষ্টা করলে শুরু হয় পুলিশের লাঠিপেটা। প্রায় ১০ মিনিট ধরে লাঠিপেটায় ছত্রভঙ্গ হয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন নেতাকর্মীরা। ব্যবসায়ীরা উৎকণ্ঠিত হয়ে দ্রুত দোকানপাট বন্ধ করেন, তৈরি হয় আতঙ্ক। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৮ জনকে আটক করে পুলিশ।

ছবি: টিবিএস

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার উৎপল কুমার রায় জানান, 'মেট্রোপলিটন এলাকায় জামায়াত বিশৃঙ্খলা ঘটাতে বিনা-অনুমতিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে তা ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে আমরা ৮ জনকে গ্রেফতার করেছি। গ্রেফতার অভিযান এখনো চলছে।'

এদিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মহানগর জামায়াতের আমির এ টি এম আজম খান ও সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ সালাফী দাবি করেছেন, পুলিশ বিনা উস্কানীতে শান্তিপূর্ণ মিছিলে লাঠিপেটা করে প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মীকে আহত করেছে।

বিবৃতিতে জামায়াত দাবি করেছে, এই বিক্ষোভ মিছিল করার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহস্পতিবার মহানগর পুলিশ কমিশনারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল। সেই রিসিভ কপি জামায়াতের কাছে। কিন্তু, পুলিশ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই লাঠিপেটা করে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করা হয়।

একইসাথে বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আন্দোলনের জন্য পুলিশের কোনো অনুমতির দরকার হয় না। পুলিশকে অবহিত করা হয়, মিছিলকে শান্তিপুর্ণ করার জন্য। জামায়াতের দাবি দুই সহস্রাধিক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.