কমলাপুর স্টেশন: সকালে ভিড়, দুপুরের পর জনশূন্য 

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
21 April, 2023, 04:00 pm
Last modified: 21 April, 2023, 04:05 pm
কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, টিকিট থাকা সাপেক্ষে যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। আর যারা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি, তারা ট্রেন ছাড়ার আগ মুহূর্তে কাউন্টার থেকে স্ট্যান্ডিং টিকিট সংগ্রহ করছেন।

ঈদযাত্রার শেষদিন শুক্রবার ভোর থেকেই কমলাপুর রেল স্টেশনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেলেও সময় গড়ানোর সাথে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে। দুপুর দুইটার দিকে প্রায় জনশূন্য দেখা যায় স্টেশন এলাকা।

সকালে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী দেখা গেলেও এগারোটার দিকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোর পরিস্থিতি ছিল স্বাভাবিক।

কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, এদিন টিকিট থাকা সাপেক্ষে যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। আর যারা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি, তারা ট্রেন ছাড়ার আগ মুহূর্তে কাউন্টার থেকে স্ট্যান্ডিং টিকিট সংগ্রহ করছেন। যদিও স্ট্যান্ডিং টিকিট না পেয়ে অনেকেই বিকল্প বাহন ধরতে বাধ্য হয়েছেন।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, শেষদিন হওয়ায় আজ যাত্রীর চাপ সকালে বেশি ছিল। তবে শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে সবাই স্টেশনে প্রবেশ করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেট ও চট্টগ্রামের দিকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে আসনের বেশি যাত্রী ছিল না। কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও জামালপুরমুখী ভোরে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে বেশি যাত্রী ছিল। তবে এ সব গন্তব্যে ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো ছিল একেবারেই ফাঁকা।

তবে রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুরের দিকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে ভিড় ছিল অস্বাভাবিক। কিছু যাত্রী ছাদে উঠার চেষ্টা করলে তাদের নামিয়ে এনে ট্রেন ছাড়তে কিছুটা বিলম্বও হয়েছে।

সকাল থেকে প্রায় সবগুলো ট্রেনই কিছুটা বিলম্বে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা দেরিতে ৯টা ৩০-এ ছেড়েছে। দেওয়ানগঞ্জগামী দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল ৯টা ২৫ মিনিটে। সেটি ছেড়ে গেছে প্রায় ২০ মিনিট দেরিতে ৯টা ৪৫ মিনিটে।

এছাড়া উত্তরবঙ্গগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস এক ঘণ্টা বিলম্বে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং একতা এক্সপ্রেস ৪০ মিনিট দেরিতে ১০টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে যায়।

বেসরকারি অফিস ও বিভিন্ন কল-কারখানায় ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। এদিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া উত্তরবঙ্গগামী কোনো ট্রেনেই ছিল না তিল ধারনের ঠাঁই। এমনকি ট্রেনের ছাদেও ছিল শত শত যাত্রী। এছাড়া স্ট্যান্ডিং টিকিটের জন্য ছিল যাত্রীদের হাহাকার।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.