বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দামের মাসিক সমন্বয় নিয়ে ভাবছে সরকার: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকার প্রতিমাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম সমন্বয়ের ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ ভবনে চুক্তি সই অনুষ্ঠানের ফাঁকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা প্রতিমাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম সমন্বয় করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।"
তিনি আরও বলেন, সরকারের পদক্ষেপের সঙ্গে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানির কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, "বিইআরসি তার নিজের কাজ করবে এবং তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা বিইআরসি নিয়ম সংশোধন করেছি, যাতে আমরা প্রতিমাসে দাম সমন্বয় করতে পারি।"
তিনি আরও বলেন, "ইতোমধ্যে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো মাসিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা চালু করেছে।"
তিনি বলেন, "বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বেড়েছে এবং মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। সুতরাং, আমাদেরও সামঞ্জস্যের দিকে যেতে হবে।"
তিনি বলেন, বিদ্যমান বিইআরসি আইন সংশোধনের মূল উদ্দেশ্য হলো নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক সিদ্ধান্ত নেওয়া।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে; কারণ সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধি খাতের সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ করবে না।
তিনি বলেন, দাম সমন্বয় করা গেলে অন্তত গ্যাস আমদানিতে আর্থিক ক্ষতির কারণে যে ব্যাকলগ তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, সরকার আশা করছে গত গ্রীষ্মের মতো আগামী গ্রীষ্মে খুব বেশি লোডশেডিং হবে না।
এদিকে, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ও চীনের সিএমসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (বিসিআরইসিএল) বাংলাদেশের রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে একটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) এবং একটি বাস্তবায়ন চুক্তি (আইএ) স্বাক্ষর করেছে এবং সরকার সিরাজগঞ্জে ৬৮ মেগাওয়াটের একটি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবে।
চুক্তি অনুযায়ী, বিপিডিবি ২০ বছরের মেয়াদে প্ল্যান্ট থেকে প্রতি ইউনিট ১০ দশমিক ২০ ইউএস সেন্টে বিদ্যুৎ কিনবে।
বিসিআরইসিএল প্ল্যান্টটি স্থাপনের জন্য ৮৭ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে, যেখানে জেডটিইএনসিও লিমিটেড বাংলাদেশ পরামর্শক হিসেবে কাজ করবে এবং চীনের পেরিওশেন-ফেডি-সিনোহাইড্রোর কনসোর্টিয়াম প্রকল্পের জন্যে ইপিসি ঠিকাদার হিসেবে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে নসরুল বলেন, সরকার আগামী এক বছরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায়।