বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন নিয়ে নোংরা খেলা খেলে। তারা ক্ষমতায় গেলে মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে এবং দেশকে পিছিয়ে দেয়।
"মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলাটা বিএনপি'র চরিত্র। কারণ একটাই ওরা গণমানুষের দল নয়, ওরা মানুষকে পরোয়া করে না।"
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে শেখ হাসিনা রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আ.লীগ এবং বিএনপি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের তুলনামূলক আলোচনা করে বলেন, "(বর্তমানে) উন্নয়নের ধারা চলমান রয়েছে। কিন্তু, বিএনপি ক্ষমতায় এলেই তা পিছিয়ে পড়ে। "
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষাহার ৪৫ শতাংশ থেকে ৬৫ শতাংশে উন্নীত করেছে আ.লীগ সরকার। বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩,২০০ মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে ৪,৩০০ মেগাওয়াট করেছে।
কিন্তু, ২০০১ সালে বিএনপি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষাহার আবার ৪৫ শতাংশে নামে, বিদ্যুৎ উৎপাদন আবার ৩,২০০ মেগাওয়াটে পতন হয়।
"হাওয়া ভবন খুলে বিএনপি শুধু নিজের উন্নয়ন করেছে। তারা দেশ বা জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারে না। এজন্য জনগণ তাদের বার বার প্রত্যাখ্যান করেছে। "
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ জানে স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া আ.লীগ ক্ষমতায় এলেই শুধু মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই এদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল সম্মেলন সঞ্চালনা ও সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন।
পরে তিনি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও প্রত্যক্ষ করেন।
কাউন্সিলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাসহ সকল শহীদ, মুক্তিযুদ্ধ এবং সকল গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।