চট্টগ্রামে খুন হওয়া শিশু আয়াতের দেহের আরেকটি খণ্ডিত অংশ উদ্ধার

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
01 December, 2022, 01:05 pm
Last modified: 01 December, 2022, 01:14 pm
আসামি আবীর আলী যেভাবে বর্ণনা দিয়েছিলো সেভাবেই স্কচটেপ মোড়ানো পলিথিনের ভেতরে দেহাংশটি পাওয়া যায়।

চট্টগ্রামের খুন হওয়া ৫ বছরের শিশুকন্যা আলিনা ইসলাম আয়াতের দেহের খণ্ডিত অংশের পর এবার মাথার অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড আকমল আলী ঘাটের স্লুইসগেট এলাকা থেকে শিশুটির খণ্ডিত মাথাটি উদ্ধার করা হয়। পিবিআই কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (৩০ নভেম্বর) একই এলাকা থেকে আয়াতের পলিথিন মোড়ানো পায়ের অংশ উদ্ধার করেছিলো পিবিআই। 

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, স্লুইসগেটে আটকে থাকা পানির মধ্যে জমা পলিথিনে তল্লাশি করে বিচ্ছিন্ন মাথাটি পাওয়া গেছে। আসামি আবীর আলী যেভাবে বর্ণনা দিয়েছিলো সেভাবেই স্কচটেপ মোড়ানো পলিথিনের ভেতরে মাথাটি পাওয়া যায়।

গত ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। পরদিন শিশুর বাবা সোহেল রানা এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করে।

পিবিআই জানায়, আবির আলী মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকেলে আয়াতকে অপহরণ করে। পরে আয়াত চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে বাজারের ব্যাগে ভরে আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরো করে। তারপর কাট্টলীর সাগরপাড়ে ফেলে দেয়। গ্রেপ্তারের পর আবির আলী সব কিছু স্বীকার করে নেয়। মরদেহ টুকরো করার কাজে ব্যবহার করা বটি ও এন্টি কাটার উদ্ধার করা হয়েছে আবির আলীর বাসা থেকে।

গত ২৪ নভেম্বর রাতে ইপিজেডের আকমল আলী রোডের পকেটগেট এলাকার বাসা থেকে আয়াতদের ভাড়াটিয়া আবির আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন থেকে চলা অভিযানে আয়াতের রক্তমাখা কাপড় ও স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়।    

নগরীর ইপিজেড থানাধীন নয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা ও সাহিদা আক্তার তামান্না দম্পতির মেয়ে ছিল আয়াত। তিনতলা ভবনের মালিক সোহেলের ওই এলাকায় একটি মুদির দোকান আছে। আয়াত স্থানীয় তালীমূল কোরআন নূরানী মাদরাসার হেফজখানার ছাত্রী ছিল।  

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.