চট্টগ্রামের খাল থেকে উদ্ধার ৫ বছরের শিশু আয়াতের দেহাংশ 

বাংলাদেশ

ইউএনবি 
30 November, 2022, 06:55 pm
Last modified: 30 November, 2022, 06:59 pm
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘আজ ষষ্ঠদিনের অভিযানে আয়াতের খণ্ডিত দেহাংশ আকমল আলী রোডের সাগর পাড়ে স্লুইসগেট এলাকায় পাওয়া গেছে। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকায় অপহরণ করে হত্যা করে কেটে ছয় টুকরো করে সাগর ও খালে ফেলে দেয়া শিশু আয়াতের শরীরের খণ্ডিত দুটি অংশ উদ্ধারের দাবি করেছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা- পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর আকমল আলী রোডের সাগর পাড়ের একটি নালায় স্লুইসগেটের কাছে বিচ্ছিন্ন দুই পায়ের অংশ পাওয়া যায়।  

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা।

তিনি বলেন, 'আজ ষষ্ঠদিনের অভিযানে আয়াতের খণ্ডিত দেহাংশ আকমল আলী রোডের সাগর পাড়ে স্লুইসগেট এলাকায় পাওয়া গেছে। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।'

উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর ইপিজেড থানার বন্দরটিলার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত (৫)। পরদিন এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা। ইপিজেড থানার পাশাপাশি তদন্তে নামে পিবিআই।

নিখোঁজের ১০ দিনের মাথায় ২৪ নভেম্বর রাতে আবীর নামে একজনকে আটক করে পিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদে আবীর জানায় মুক্তিপণের জন্য আয়াতকে অপহরণ করেছিল। আয়াত চিৎকার দেয়ায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর লাশ ছয় টুকরো করে সাগর ও পাশ্ববর্তী খালে ফেলে দেয়। পরে আকমল আলী সড়কে তার মায়ের বাসার সামনে একটি ঝোঁপ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আয়াতের বাসার পাশে কবরস্থানে তার পায়ের স্যান্ডেলও উদ্ধার করা হয়।  

ইতোমধ্যে আবীরকে পিবিআই প্রথমে দুই দিন এবং দ্বিতীয় দফায় সাতদিন রিমান্ডে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। গতকাল (২৯ নভেম্বর) তার মা-বাবা দুইজনকে তিনদিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.