বিএনপির সমাবেশের আগে মৌলভীবাজারেও পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
১৯ নভেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে এবার মৌলভীবাজার জেলায় দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট ঘোষণা করেছে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি। এসময় বন্ধ থাকবে সকল ধরনের যানবাহন বলে জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দরা। তবে বিএনপি মনে করছে এসব সরকারের কারসাজি। উল্লেখ্য, ১৯ নভেম্বর সিলেটও ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস মালিক সমিতি।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ধর্মঘটের ঘোষণা দেন মৌলভীবাজার বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, মৌলভীবাজার জেলার সব পরিবহন মালিক সমিতি ও সড়ক শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে সিএনজি অটোরিক্সা রেজিস্ট্রেশন বন্ধ এবং সিএনজি গাড়ির সামনে গ্ৰিল লাগানো, ব্যাটারিচালিত টমটমের অবৈধভাবে চলাচল ও ট্রাক, লরি, পিকআপ ক্যাভার্ড ভ্যান গাড়িতে চাঁদাবাজি ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ এবং মৌলভীবাজার জেলায় একটি স্থায়ী ট্রাক স্ট্যান্ড নির্মাণের দাবিতে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
রশিদ উদ্দিন বলেন, 'আগামী ১৮ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে। তাই মৌলভীবাজার জেলার সন সড়কে বাস মিনিবাস ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকার ঘোষণা করা হলো।'
এ সময় মৌলভীবাজার জেলা মিনিবাস মালিক গ্ৰুপের চেয়ারম্যান আসাদ হোসেন মক্কু, মৌলভীবাজার জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফজলুর রহমান, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান অদুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান জানান, 'এগুলো ক্ষমতাসীন সরকারের কারসাজি। আমাদের নেতাকর্মীরা এসব ধর্মঘট তোয়াক্কা করেন না। এরইমধ্যে মৌলভীবাজার থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসা শুরু করেছেন। আমিও এখন সমাবেশস্থলে। আমরা আমাদের জেলা প্যান্ডেল প্রস্তুত করছি।'
তিনি বলেন, 'পরিবহন বন্ধ করে কোনো লাভ নেই। বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে আসবেন। এই ধর্মঘটকে আমরা পাত্তা দিচ্ছি না। দেশের অন্যান্য স্থানেও সরকারের মদদে বিএনপির সমাবেশ নস্যাৎ করতে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তবু লাখো মানুষের স্রোত ঠেকানো যায়নি, সিলেটেও সম্ভব হবে না।'