উখিয়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
08 November, 2022, 01:50 pm
Last modified: 08 November, 2022, 01:50 pm
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ভোরে কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরে এ ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ভোরে কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন।

 উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, নিহত মোহাম্মদ সেলিম (৩০) টেকনাফ মুছনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবদুস সালামের ছেলে।

তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার ভোরে তিন অজ্ঞাত ব্যক্তি আহত মোহাম্মদ সেলিমকে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেলিম মারা গেলে তিনজনই পালিয়ে যান। 

পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের খবরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

মোহাম্মদ সেলিম নবী হোসেন গ্রুপের সদস্য হিসেবে কাজ করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। নবী হোসেন ও মুন্নার সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জের ধরে সেলিম গুলিবিদ্ধ হন।

টেকনাফ থানার ওসি মোঃ আব্দুল হালিম বলেন, নিহত ব্যক্তি টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে থাকলেও ঘটনাটি ঘটেছে উখিয়ায়। এ বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। 

এর আগে, গত ২৭ অক্টোবর কুতুপালংয়ের উখিয়ার ১৭ নম্বর ক্যাম্পের সি ব্লকের বাসিন্দা আয়াতুল্লাহ (৪০) ও ইয়াসিন (৩০) নামে দুই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

২৬ অক্টোবর, ১০ নম্বর ক্যাম্পে মোহাম্মদ জসিম নামে একজন নিহত হন এবং আরেক রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হন। 

১৮ অক্টোবর ১৯ নম্বর ক্যাম্পে সৈয়দ হোসেন নামে আরেক রোহিঙ্গা নিহত হন। এর আগে, ১০ অক্টোবর সৈয়দ হোসেনের বাবা জামাল হোসেনকেও হত্যা করা হয়।

১৫ অক্টোবর ক্যাম্প ১৩-এর মাঝি ও সাব-মাঝি মোহাম্মদ আনোয়ার ও মোহাম্মদ ইউনুসকে গুলি করে হত্যা করা হয়। 

১২ অক্টোবর ক্যাম্প ৯-এর সাব-মাঝি মোহাম্মদ হোসেনকে হত্যা করা হয়। 

এরও আগে, ৪ অক্টোবর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে এপিবিএনের বন্দুকযুদ্ধে তাসদিয়া আক্তার (১১) নামে এক শিশু নিহত হয়।

৮ এপিবিএন-এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক আহমেদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের পেছনে মাদক ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাসহ অনেক কারণ রয়েছে। এছাড়া, অপরাধীদের সম্পর্কে স্বেচ্ছায় তথ্য দেওয়ায় বা তাদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায়ও কিছু লোককে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, পাঁচটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রতিটি খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এপিবিএন ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে।
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.