৫১ বছরে কখনোই ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
27 September, 2022, 04:45 pm
Last modified: 27 September, 2022, 06:02 pm
‘জিডিপি অনুপাতে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে কম ঋণ থাকা দেশের মধ্যে অন্যতম, যা মাত্র ৩৪ শতাংশ।’

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, স্বাধীনতার পর ৫১ বছরের যাত্রায় বাংলাদেশ কখনোই দেশি-বিদেশি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি। 

আজ  (২৬ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার দুপুরে ম্যানিলায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সদর দপ্তরে বার্ষিক সভার অংশ হিসেবে এডিবি'র প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়ার সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেন, জিডিপি অনুপাতে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে কম ঋণ থাকা দেশের মধ্যে অন্যতম, যা মাত্র ৩৪ শতাংশ।

বৈঠকের শুরুতে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এডিবি বাংলাদেশের বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করায় অর্থমন্ত্রী আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে এডিবি'র ক্রমবর্ধমান অর্থায়ন দাঁড়িয়েছে ২৭.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মধ্যে মোট বকেয়া ১১.৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বাংলাদেশ অত্যন্ত সক্ষমতার সাথে নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করে চলেছে। 

অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯ উদ্ভূত সংকটে দ্রুত সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে এডিবি প্রেসিডেন্টের সক্রিয় এবং গতিশীল নেতৃত্বের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন অর্থমন্ত্রী। 

তিনি আরো বলেন, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্য সংকট পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোকে দ্রুত ভ্যাকসিন ও ব্যয় সহায়তা দিয়ে সাহায্য করেছে এডিবি। 

"এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, বাংলাদেশ-এডিবি কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজি (২০২১-২০২৫), বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন ও লক্ষ্যগুলোর সাথে সমন্বয় করে তৈরি করা হয়েছে, যা আগামী পাঁচ বছরে আমাদের জন্য ১২-১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহয়তার যোগান থাকবে বলে আশা করা যায়," যোগ করেন তিনি। 

বাংলাদেশের সক্ষমতা ও অগ্রগতি তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, "আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সকল আর্থ-সামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্ব সম্প্রদায়ের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশ গত ১৩ বছরে গড়ে ৬.৬% জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।" 

"কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারি এবং বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক সংকটের কারণে, খাদ্য, জ্বালানি, সার, এবং আর্থিক সংকট বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনকে ব্যাহত করেছে এবং সারা বিশ্বে মূল্যস্ফীতি বাড়িয়েছে।

"সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করার জন্য, আমাদের এডিবি থেকে বাজেট সহায়তার পাশাপাশি নীতি ভিত্তিক ঋণ (পিবিএল) প্রয়োজন," বলেন তিনি। 

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী এডিবি'র বিশেষ সহযোগিতা কামনা করেন এবং বাংলাদেশও এডিবি সদর দপ্তরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.