ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত 

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
26 September, 2022, 10:45 am
Last modified: 26 September, 2022, 11:39 am
একইসঙ্গে সংগঠনের ১৬ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে রাজধানীর ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। একইসঙ্গে ছাত্রলীগের ১৬ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে সংগঠনটি থেকে।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

সেখানে বলা হয়, "ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।"

স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃতদের মধ্যে বর্তমান কমিটির ১০ সহ-সভাপতি, একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ও চারজন কর্মী রয়েছেন। 

ছাত্রলীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলাপরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। 

রোববার কলেজ মিলনায়তনে ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে প্রতিপক্ষের সঙ্গে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

সংঘর্ষে অন্য পক্ষের সহ-সভাপতি সুস্মিতা বাড়ইও আহত হন। 

এর আগে রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে ইডেন মহিলা কলেজে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা সভাপতি তামান্না জেসমিন ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। আরেক নেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসকে হয়রানি ও মারধরের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ হয়। 

গত ২২ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আসন বাণিজ্য, চাঁদাবাজিসহ নানান অপকর্মের কথা তুলে ধরে গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন। সেই সাক্ষাৎকার দেখে ক্ষুব্ধ হন তামান্না ও রাজিয়া। 

এরপর শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে কলেজ শাখার নেত্রী নুজহাত ফারিয়া ওরফে রোকসানা, আয়েশা ইসলাম ওরফে মীম ও কামরুন নাহার ওরফে জ্যোতিসহ তামান্না ও রাজিয়ার কয়েকজন সমর্থক জান্নাতুল ফেরদৌসকে কলেজের ছাত্রী নিবাস থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়।

এ সময় তারা জান্নাতুলকে উত্ত্যক্ত ও মারধর করে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হামলার ঘটনায় ওই রাতেই তামান্না ও রাজিয়াকে বহিষ্কারের দাবিতে মিছিল বের করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা তাদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে পাল্টা মিছিল করে।

তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, কলেজ প্রশাসন দুই পক্ষকে ঠেকাতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।  

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.