চট্টগ্রামের স্কুলে কাবাডি খেলোয়াড় ছাত্রীদের হেনস্তার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
24 September, 2022, 04:30 pm
Last modified: 24 September, 2022, 04:33 pm

চট্টগ্রামের ইয়াকুব আলী দোভাষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন কাবাডি খেলোয়াড় ছাত্রীর ফ্রেঞ্চ বেনি করাকে কেন্দ্র করে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নিপা চৌধুরীর তাদের হেনস্তা করার অভিযোগটি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।  

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী আহ্বায়ক এবং জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মাধবী বড়ুয়াকে সদস্য করা হয়েছে।

কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

এর আগে গত শুক্রবার স্কুলের স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নিপা চৌধুরী কর্তৃক কাবাডি খেলোয়াড় নারী শিক্ষার্থীদেদের বকা-ঝকা, চুল ধরে টানাটানিসহ হেনস্তার ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। ঘটনার পর স্কুলের শরীরচর্চা শিক্ষিকা জাহিদা পারভীন নিজের মাথা চুল ফেলে প্রতিবাদ জানান। এ নিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও লিখেছেন।  

শিক্ষিকা জাহিদা পারভীন বলেছিলেন, "থানা পর্যায়ের গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য ইয়াকুব আলী দোভাষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২ জন মেয়ের একটি কাবাডি দল গঠন করা হয়। ৮ সেপ্টেম্বর ম্যাচ ছিল। কাবাডির নিয়ম অনুযায়ী চুলে ক্লিপ লাগানো যায় না। চুল চোখের সামনে চলে আসায় মেয়েদের খেলতে অসুবিধা হয়। এ কারণে তারা ফ্রেঞ্চ স্টাইলে বেনি করে।"

"নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচের একদিন আগে অংশগ্রহণকারী দলের ছবি তুলে কো-অর্ডিনেটরের কাছে জমা দিতে হয়। ওইদিন (৭ সেপ্টেম্বর) ছাত্রীদের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে ছবি তোলার জন্য ছাত্রীদের জার্সি পরে তৈরি হতে বলি। তারা বেনি করে জার্সি পরে তৈরি হয়। এর মধ্যে আমি টয়লেটে যাই। সেখান থেকেই আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার চিৎকার- চেঁচামেচি শুনতে পাই।"

তিনি আরো বলেন, "টয়লেট থেকে বের হয়ে শুনি প্রধান শিক্ষিকা ছাত্রীদের বকাঝকা করেছেন। কয়েকজন ছাত্রীকে চুল ধরে মারধর করেছেন। তখন দুই মেয়েকে কান্না করতে দেখি। 

"প্রধান শিক্ষিকাকে জানাই যে, আমি ছাত্রীদের বেণী করতে বলেছি। এ কথা শুনে তিনি আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।"

"প্রধান শিক্ষিকার কারণে পরের দিন ম্যাচে অংশ নিতে দেরি হয়। এতে প্রতিপক্ষ ওয়াকওভার পেয়ে যায়"।  

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.