বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী নেবে যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
25 August, 2022, 08:15 pm
Last modified: 26 August, 2022, 02:14 pm
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র  কত সংখ্যক রোহিঙ্গাকে কবে থেকে নেওয়া শুরু করবে, সে ব্যাপারে ব্লিঙ্কেন বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। 

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে ব্যাপক নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গারা। 

রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়ন অভিযানের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বিবৃতিতে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যুক্তরাষ্ট্রে রোহিঙ্গা শরণার্থী নেওয়ার কথা জানান।

স্থানীয় সময় বুধবার ওয়াশিংটনে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সম্মিলিত মানবিক সহায়তার অত্যাবশ্যক পদক্ষেপ হিসেবে যাতে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যেন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের জীবনকে নতুনভাবে গড়তে পারে, সেজন্য তারা বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন অঞ্চল থেকে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে কাজ করছেন।

এছাড়া রোহিঙ্গা ও মিয়ানমারের জনগণকে ন্যায়বিচার পেতেও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ব্লিঙ্কেন বলেন, 'এ বছরের মার্চে আমি ইউনাইটেড স্টেটস হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে বক্তৃতা দেওয়ার সময় নিশ্চিত করি যে যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বার্মিজ সেনাবাহিনীর নৃশংস মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যা সংঘটন' করেছে।'

অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র  কত সংখ্যক রোহিঙ্গাকে কবে থেকে নেওয়া শুরু করবে, সে ব্যাপারে ব্লিঙ্কেন বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি।

অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বলে আসছে বাংলাদেশ। 

এমনকি পশ্চিম দেশগুলোও যেন সম্ভব হলে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়, সেই আহ্বানও জানিয়েছে বাংলাদেশ।

এই পরিস্থিতিতে প্রথম দেশ হিসেবে রোহিঙ্গাদের নেওয়ার কথা জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা শিবির থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে রোহিঙ্গাদের একাংশকে ভাসানচরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আগমন শুরু ১৯৭৮ সালে। এরপর থেকে কারণে-অকারণে দলে দলে অনুপ্রবেশ করে রোহিঙ্গারা।

সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর ও ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আগমন ঘটে বানের স্রোতের মতো। রাখাইনে সহিংস ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা।

নতুন-পুরাতন মিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্প ও ভাসানচরে আছে। 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.