রাশিয়ার পরিশোধিত তেলের নমুনা পৌঁছল ঢাকা বিমানবন্দরে

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
25 August, 2022, 05:05 pm
Last modified: 25 August, 2022, 05:58 pm
নাম না প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে বিপিসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, শিগগিরই কাস্টমস থেকে এই নমুনা জ্বালানি ছাড়া পাবে। এরপর পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে নিয়ে যাওয়া হবে।

রাশিয়া থেকে প্রায় ৫০ লিটার পরিশোধিত নমুনা জ্বালানি তেল ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, বুধবার (২৪ আগস্ট) বিমানবন্দরে পৌঁছেছে জ্বালানি তেলের নমুনা।

তবে এই জ্বালানি এখনও কাস্টমস থেকে ছাড়া পায়নি বলেও জানিয়েছে বিপিসি।

নাম না প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে বিপিসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, শিগগিরই কাস্টমস থেকে এই নমুনা জ্বালানি ছাড়া পাবে। এরপর এই নমুনা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে নিয়ে যাওয়া হবে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়ে বিপিসি বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিনটি কোম্পানি বাছাই করে কীভাবে তেল আনা যায়, তা যাচাই-বাছাই করে দেখছে বিপিসি। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও কোম্পানিগুলোর মধ্যে আলোচনা চলছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে।

এ পরিস্থিতিতে ভারত ও চীনসহ বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে কম দামে তেল কিনছে।

এর মধ্যে গত মে মাসে বাংলাদেশকে অপরিশোধিত তেল কেনার প্রস্তাব দেয় রাশিয়া। 

বর্তমানে বিপিসি আটটি দেশ থেকে পরিশোধিত জ্বালানি আমদানি করে। দেশগুলো হলো—কুয়েত, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও ভারত।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা এ বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দেশটির অর্থায়ন ও রসদ সরবরাহ করার ক্ষমতা কমাতে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেয়। রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ফলে রাশিয়ান ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করা অন্যান্য দেশের জন্য কঠিন হয়ে ওঠে।

কিন্তু পরে দেখা যায় নিষেধাজ্ঞাগুলো 'নির্বাচিত', কেননা পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়া থেকে তেল, গ্যাস, সার এবং কৃষিপণ্যসহ তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার পথ খোলা রেখেছিল।

পরে ৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই যুদ্ধ গোটা বিশ্বে প্রভাব ফেলেছে। আর রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদে নিষেধাজ্ঞা বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলকে ব্যাহত করেছে। একটি দেশকে শাস্তি দিতে গিয়ে সারা বিশ্বের মানুষকে শাস্তি না দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তারপর ১৬ আগস্ট তিনি রাশিয়া থেকে তাদের নিজস্ব মুদ্রায় জ্বালানি তেল আমদানির উপায় বের করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশ দেন।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.