ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে ঝুঁকির মুখে মৎস্যখাত

বাংলাদেশ

18 August, 2022, 04:55 pm
Last modified: 18 August, 2022, 05:03 pm
আগে ৪ দিনের জন্য সাগরে গেলে সবমিলে খরচ হতো ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার মত। বর্তমানে ৬০ হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।

সমুদ্রে মাছ ধরা একটি ব্যয়বহুল কাজ। সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য প্রতিবার প্রায় ১২-১২ দিনের জন্য একটানা পানিতে থাকা লাগে বিধায় যাত্রা শুরুর আগে পটুয়াখালীর ২০ জন জেলের একটি দলকে অবশ্যই কমপক্ষে দুই হাজার লিটার ডিজেল, পর্যাপ্ত বরফ, খাবার এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি নিয়ে তবেই রওনা দিতে হয়।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া বন্দর থেকে ১০-১২ দিনের জন্য একটি মাঝারি মানের ইঞ্জিন বোট নিয়ে গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে যান হোসেন মিয়া। প্রতিটি ট্রিপে ১৮-১৯ জন মানুষ থাকে বোটে। 

দুই হাজার লিটার ডিজেলের দাম ১১৪ টাকা হিসাবে হয় ২ লাখ ২৮ হাজার টাকা। যা আগের দামে ছিল (৮০ টাকা লিটার হিসেবে) ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অর্থাৎ এক ট্রিপে বোটের জ্বালানি খরচ বেড়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। 

এই বাইরে খাবারের দাম বৃদ্ধির কারণে ১৮-১৯ জনের খাওয়ার খরচও বেড়েছে।

অন্যদিকে সমুদ্র কিছুটা উত্তাল থাকায় ইলিশ ধরা পড়ছে কম। এতে করে তাদেরকে লোকসানে পড়তে হচ্ছে।

ছবি- মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন/ টিবিএস

হোসেন মিয়া দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "সাগরে মাছ ধরা আগের চেয়ে অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে, কিন্তু এই ভরা মৌসুমে মাছ ধরেও এত বেশি খরচ সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।"

"আমাদের এখন লোকসান গুনতে হচ্ছে," বলেন তিনি।

একদিকে বাড়তি খরচ, অন্যদিকে মাছ ধরার পরিমাণ কমে আসায় ঢাকার বাজারে ইলিশ ও অন্যান্য মাছের দাম বাড়ছে।

কারওয়ান বাজারের ইলিশের পাইকারী বিক্রেতারা জানান এবার ১ কেজি থেকে এক কেজির একটু বেশি ওজনের মাছ ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩০০-১৪০০ টাকার মধ্যে। এই দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫০-২০০ টাকা বেশি।

একইভাবে ৯০০ গ্রাম ওজনের চেয়ে বেশি ইলিশের পাইকারী দাম ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকা। খুচরায় এটা বিক্রি হচ্ছে ১১৫০-১২০০ টাকায়। ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ পাইকারীতে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়।

এছাড়া দেড় কেজি বা তারও বেশি ওজনের কিছু ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। যেগুলো খুচরায় ১৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর ছিল ১৫ থেকে ১৬০০ টাকা কেজি।

ছবি- মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন/ টিবিএস

ইলিশের পাইকারী বিক্রেতা মো মইন টিবিএসকে বলেন, 'এবারে ইলিশের দাম চড়া। পরিবহন খরচ থেকে শুরু করে সব খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।'   

বাড়তি খরচের এই বোঝা থেকে রেহাই পায়নি নোয়াখালীর জেলেরাও।

হাতিয়ার ইসলামিয়া বাজারের মৎস্যজীবী সাইফুল ইসলাম (৪৫) জানান, তারা সাধারণত চার দিনের জন্য সাগরে যান। সর্বশেষ জ্বালানির দাম বৃদ্ধির পর তাদের প্রতি ট্রিপের খরচ ১.৬ লাখ টাকা থেকে বেড়ে এখন প্রায় ২ লাখ টাকা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, "৯ আগস্ট, আমি আরও ২০ জনের সাথে গভীর সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। আমরা তিন লাখ টাকার মাছ ধরেছি। কিন্তু আমার কর্মীদের মজুরি দিয়ে আর কোনো লাভ করতে পারিনি আমি।"

তিনি আরও বলেন, সবশেষ গত ৯ তারিখ মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যানঘাট থেকে গভীর সমুদ্রে যায় তার ট্রলার 'জেরিন আক্তার'। সাগরে যাওয়ার আগে ১২০০ লিটার ডিজেল ও ৩০০ ছোট সাইজের বরফ ট্রলারে নেওয়া হয়। জ্বালানি শেষ হওয়ায় ৪দিনের মাথায় ১৩ তারিখ ভোরে ঘাটে ফিরে আসে ট্রলারটি। 

ছবি- মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন/ টিবিএস

৪ দিনে যে মাছ পেয়েছেন তা ৩ লাখ টাকায় আড়ৎ এ বিক্রি করা হয়। সাগরে ট্রলার পাঠানোর সময় ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকার জ্বালানি ও ৪৮ হাজার টাকার বরফ নেওয়া হয়, যেখানে অনান্য মালামালসহ প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু খরচ বাড়লেও মাছ পাওয়া গেছে মাত্র ৩ লাখ টাকার। 

"যেখানে আগে ৪ দিনের জন্য সাগরে গেলে সবমিলে খরচ হতো ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার মত। বর্তমানে ৬০ হাজার টাকার বেশি খরচ হচ্ছে। খরচ বাদ দিয়ে অবশিষ্ট ১ লাখ টাকার মধ্যে ২০ জন মাঝি মাল্লার ৪ দিনের মজুরি ও ট্রলারের ভাড়ার একটি অংশ বাদ দিলে আমাদের জন্য কিছুই থাকছে না। দ্বিগুণ খরচ বৃদ্ধি পেলেও মাছের দাম বা জেলেদের আয় বাড়েনি। এমতবস্থায় চলতি মৌসুমের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত পারিবারিক খরচ নিয়ে বিপাকে আছি," বলেন তিনি।

শুধুমাত্র ব্যয়বহুল ডিজেলেই যে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এমন না– বরফ এবং অন্যান্য পণ্যের ক্রমবর্ধমান খরচও তাদের ওপর অতিরিক্ত বোঝা হিসেবে আসছে।

অতিরিক্ত খরচের বোঝা এমনকি জেলেদের মজুরিতেও প্রভাব ফেলছে। ট্রলারে মজুরির ভিত্তিতে কাজ করা নাজিম মাঝি বলেন, "সাতদিনের জন্য সাগরে মাছ ধরতে গেলে আমরা ১২ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকা পেতাম। সাগরে ধরা মাছ বিক্রির ভাগও পেতাম (প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা)।"

কিন্তু বর্তমানে জ্বালানি ও বরফের দাম বাড়ানোর কারণে, এবং মাছ ধরার পরিমাণ কমে আসায় তারা পাচ্ছেন মাত্র ১,৫০০-২,০০০ টাকা।

এই অঞ্চলের অন্তত ১ লাখ জেলে এখন সমুদ্রে মাছ ধরার ক্রমবর্ধমান খরচের বোঝায় ভুক্তভোগী। অতিরিক্ত খরচ বহন করতে না পারায় অনেকেই মাছ ধরার নৌকা তীরে ফেলে রেখেছেন।

হাতিয়া ট্রলার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. রাশেদ টিবিএসকে বলেন, মাত্র এক সপ্তাহে অন্তত ৫ হাজার জেলে অন্য কাজে যোগ দিয়েছে।

তিনি বলেন, অনেকেই রিকশাচালক ও দিনমজুর হিসেবে কাজ করার জন্য জেলা শহরে চলে গেছে।

হাতিয়ার বাংলাবাজারের মাছ ব্যবসায়ী আশার উদ্দিন বলেন, "বর্তমানে সাগরে আমরা পর্যাপ্ত মাছ পাচ্ছি না। প্রতি যাত্রায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।"

প্রতিটি নৌকার মাছ সংরক্ষণের জন্য বরফ প্রয়োজন। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকে বরফের স্ল্যাবের আকারের উপর নির্ভর করে একেকটির দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে।

জেলেদের অভিযোগ, হাতিয়ার ঘাটের নিকটস্থ বাজার থেকে সরকার নির্ধারিত প্রতি লিটার ১১৪ টাকার পরিবর্তে ১২০ টাকায় ডিজেল কিনতে হচ্ছে তাদেরকে।

তবে বিক্রেতারা বলছেন, জেলা শহর থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে তেল পরিবহনের খরচ বেশি হওয়ায় প্রতি লিটারে ৫ থেকে ৬ টাকা বেশি নিতে হচ্ছে।

ছবি- মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন/ টিবিএস

বরফ কারখানার মালিক আহসান উল্লাহ বলেন, ১০০ টুকরো বরফ তৈরি করতে ৮০ লিটার ডিজেল লাগে।

বর্তমানে জেলেরা সাগরে যাওয়া কমিয়ে দেওয়ায় গত কয়েকদিনে তাদের বিক্রি কমে গেছে। যেসব বরফ বিক্রি হয়না সেগুলোকে জমাট বাঁধা অবস্থায় রাখতে আরো বেশি জ্বালানির প্রয়োজন।

হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ রাশেদ বলেন, "হাতিয়া দ্বীপে চেয়ারম্যান ঘাট থেকে নিঝুম দ্বীপ পর্যন্ত ৫৭টি ঘাট রয়েছে। এসব ঘাট থেকে মাছ ধরার জন্য ১২০০টিরও বেশি নৌকা ও ৩,১১৫টি ট্রলার সাগরে যায়। প্রতিটি নৌকায় ১২-১৪ জন শ্রমিক কাজ করে এবং প্রতিটি ট্রলারে কাজ করে ২০-২৬ জন।"

হাতিয়া মৎস্য অফিসের সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, "জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে হাতিয়ায় জেলেদের ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে জেলেরা যাতে প্রতি লিটার ১১৪ টাকায় ডিজেল পান সে ব্যবস্থা করা হবে।"

ভরা মৌসুমে ডিজেলের উচ্চমূল্য এবং স্বল্প মাছ ধরার কারণে চট্টগ্রামের জেলেরাও বিপাকে পড়েছেন।

চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা ও নগরীর কাট্টলী এলাকার জেলেরা জানান, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে নেমেছে জেলেরা। কিন্তু সাগরে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। তার মধ্যে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। 

বাঁশখালী খানাখানাবাদ এলাকার ফিশিং ট্রলার মালিক ফিরোজ আহমদ বলেন, ইলিশ শিকারে গভীর সমুদ্রে যেতে হলে প্রতিদিন ১ টি বোটে ৩০-৩২ লিটার তেল খরচ হয়। আগে যেখানে জেলেদের ১টি বোটে প্রতিদিন ৮০ টাকা করে ৩০ লিটারে ২৪০০ টাকা খরচ হতো। এখন ৩০ লিটারে ১১৪ টাকা করে খরচ হচ্ছে ৩৪২০ টাকা। বোট প্রতি বেড়েছে ১০২০ টাকা। যা মাসে ৩০ হাজার ৬০০ টাকা বেশি।

তিনি আরও বলেন, "গত কয়েক দিন ধরে আমরা তিনবেলায় ৫০০০ থেকে ৬০০০ টাকার মাছ বিক্রি করছি। কিন্তু ১টি বোটে পাঁচজন জেলের দৈনিক বেতন ১ হাজার টাকা করে পাঁচ হাজার টাকা দিতে হয়। তারমধ্যে তাদের দৈনিক খাবার ২০০০ টাকা। জাল ও বোট খরচ ২ হাজার টাকা। এরসঙ্গে তেল খরচ ৩৪২০ টাকা। সব মিলে দৈনিক খরচ হয় প্রায় ১২ হাজার টাকা।"

"লাভ তো দূরের কথা, দৈনিক লোকসান প্রায় ৬ হাজার টাকা। নিষেধাজ্ঞা ওঠানোর পর থেকে গত ২৫ দিনে আমার তিনটি ট্রলারে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকার লোকসান গুনতে হয়েছে," যোগ করেন তিনি।
 
একই এলাকার জেলে শীতল জলদাশ ও রনজিত দাশ বলেন, "আগে মৌসুমে প্রতিদিন ট্রলারে কাজ পেতাম। যা দিয়ে সংসার চলতো। কিন্তু তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পর থেকে অনেক ট্রলার মাছ ধরতে যাচ্ছে না। ফলে সপ্তাহে তিন-চার দিন কাজ পেলেও বাকি দিনগুলো বসে থাকতে হচ্ছে। এভাবে আর দিন চলছে না। বাপ-দাদার এই পেশা ছেড়ে এখনে কাজের উদ্দেশ্যে শহরে চলে যাবো ভাবছি।"

আনোয়ারা এলাকার বোট মালিক ও মাছ ব্যবসায়ী আছহাব উদ্দিন বলেন, "লাখ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে সাগরে ইলিশের ব্যবসা করছি। কিন্তু চলতি মৌসুমে কাঙ্খিত পরিমাণে ইলিশ মিলছে না। পাশাপাশি তেলের দাম ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও বেড়ে গেছে। প্রতিটি বোটের জন্য মাসে বাড়তি তেল কিনতে হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার।"

চট্টগ্রামের ফিশারি ঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, "হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়াতে বিপাকে পড়ে গেছি আমরা। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় মাছ পাঠাতে যে পরিবহন খরচ হতো, এখন তারচেয়ে অনেক বেশি হচ্ছে। সব কিছু মিলে ব্যবসায় লোকসান ছাড়া লাভের মুখ দেখবো কি-না জানি না।"

বাংলাদেশ মেরিন ফিসারিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এসকে আবিদ হুসাইন বলেন, সাগরে মৎস শিকার করতে প্রতিটি ভয়েজারে আগে ১৫-২০ দিনে ৮০ হাজার টাকার জ্বালানি লাগতো। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ১০ লাখ টাকায়। কিন্তু যে পরিমাণ মাছ পাওয়া যাচ্ছে তা দিয়ে খরচও উঠে আসছে না। তার ছয়টি ভয়েজার বর্তমানে অলস বসে আছে বলে জানান তিনি। 

উত্তর পতেঙ্গা জেলেপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি সোনা বাবু জলদাস বলেন, "আমাদের দুঃখ-দুর্দশা দেখার কেউ নেই। মৎস্য অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সাংসদ, সিটি মেয়র—সবাইকে বছরের পর বছর ধরে জেলেদের নানান প্রতিকূলতা ও দাবির কথা জানিয়ে আসছি। কিন্তু আমাদের ভাগ্যে চাল ছাড়া কিছুই জুটে না। মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন সভা-সেমিনারে আমাদের দাবি ও সমস্যা কথা তুলে ধরলেও তা কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ থাকে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দু বছরের মধ্যে আমাদের বাবা-দাদার পেশা ছেড়ে পথে বসতে হবে।"

চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী বলেন, "মৎস্য অধিদপ্তরে চাকরি করলেও আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কেন্দ্র ছাড়া আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে হলে জেলেদের তাদের দাবিগুলো সংগঠনের মাধ্যমে কেন্দ্রে জানাতে হবে।"

জেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে মোট ৫ হাজার ৮১৯ টি নিবন্ধিত মাছ ধরার নৌযান (লাল বোট) রয়েছে। যেসব নৌযানগুলো প্রতিদিন সাগরে মাছ ধরতে যায়। চট্টগ্রামে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ২৬ হাজার ৯৯২ জন। কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি বলে জানা গেছে। 

সামুদ্রিক মৎস অধিদপ্তর চট্টগ্রামের তথ্যমতে, বঙ্গোপসাগেরে ৭১০ কিলোমিটার উপকূল রেখা জুড়ে ৭০ হাজারের বেশি কাঠের নৌকা, ফিশিং ট্রলার ও ভয়েজার মৎস আহরণ করে।

 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.