জাতিসংঘ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তদন্ত করতে পারে না: কাদের
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে তদন্ত করার এখতিয়ার জাতিসংঘের নেই বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তার মতে, গুম-খুন বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কাছে বিএনপি যে অভিযোগ করেছে তা তদন্ত করার কোনো এখতিয়ার জাতিসংঘের নেই।
বুধবার রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে ৫০০টিরও বেশি স্পটে সিরিজ বোমা হামলা হয়।
এদিকে গতকাল রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে সমাবেশের কারণে শাহবাগ মোড় থেকে মৎস্য ভবন মোড়ে যাওয়া-আসার দুটি সড়ক বন্ধ রাখা হয় কয়েক ঘণ্টা। এতে রাজধানীতে দেখা দেয় তীব্র যানজট ও পরিবহন সংকট। ফলে মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ে।
সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, "তারা জাতিসংঘের কাছে নালিশ করেছে। নালিশ করতে গিয়ে দিনের পর দিন ঘুরেও কোন কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে পারে নাই। এরপর নিচের দিকের কেরানীর সাথে নালিশ করে এসেছেন। নালিশ পার্টির কাজ বিদেশীদের কাছে নালিশ করা। সন্ধ্যার পর দূতাবাসগুলোতে নালিশ করতে যান।"
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, "জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দূতের কাছে নালিশ করে কোনো লাভ হবে না। কারণ, কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তদন্ত করার ক্ষমতা জাতিসংঘের নেই।"
এছাড়া নির্বাচনের মাঠে ও রাজপথে 'খেলা হবে' বলে বিরোধী দল বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, "খেলা হবে নির্বাচনে। খেলা হবে রাজপথে। খেলা হবে, মোকাবিলা হবে। বিএনপি বলে আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নাই। এই যে এত জনতার ঢল। বিএনপি কী নিয়ে খেলবেন? জগাখিচুড়ি জোট নিয়ে গতবার ধরা খেয়েছে। বিএনপি আবারও ধরা খাবে।"
বিএনপি বাংলাদেশে 'জঙ্গিবাদের ঠিকানা, এর কারখানা ও পৃষ্ঠপোষক' উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, "ফখরুল সাহেব বোমাবাজির দিন শেষ, গ্রেনেডবাজির দিন শেষ।"
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে দলকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে বলে তিনি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, "বাংলাদেশ কখনো শ্রীলংকা হবে না।"
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, "আজকে তো শুধু নমুনা দেখালাম এই বিক্ষোভ সমাবেশ করে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে বিএনপি-জামায়াতকে বঙ্গোপসাগরে ফেলব। যেখানেই বিএনপি-জামায়াত সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।"
এছাড়াও সমাবেশে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, "আমাদের নেত্রী গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন বলেই বিএনপি নয়াপল্টনে বসে কথা বলতে পারে। তবে সেই কথা যদি শিষ্টাচার বহির্ভূত হয় তাহলে তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।"