মন্ত্রী-মিনিস্টার ও প্রশাসন কি দেশের সব?: পদ্মা সেতু থেকে ঝাঁপ দেওয়া শ্রমিক
গতকাল বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিতে না পেরে পদ্মা সেতু ঝাঁপ দেন এক পোশাক শ্রমিক। নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে একটি ভিডিও বার্তা রেকর্ড করে যান তিনি, সেই ভিডিওটিই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
আক্ষেপ ভরা কণ্ঠে নুরুজ্জামান খান প্রশ্ন রেখেছেন, 'মন্ত্রী-মিনিস্টার' আর প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরাই দেশের সব কি না।
ভিডিওটিতে তিনি বলছিলেন, "আমার পিতা একটি পরিবারকে লালন পালন করেছে। কিন্তু জাতির পিতা সমগ্র দেশকে নিয়ে ভেবেছে। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য জীবন দিয়েছে। তাদের জন্য কষ্ট করেছে। জাতির পিতা সকলের পিতা। আমার ইচ্ছে ছিল জাতির পিতার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবো। সেখান দেখলাম মন্ত্রী, মিনিস্টার আর প্রশাসনের লোক। সেখানে আমাদের স্থান হলো না। তারাই কি দেশের সব। আমরা কি দেশের কিছু না।"
এসব কথা মোবাইল ফোনে ধারণ করে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের ১০-১১ নম্বর খুঁটির মাঝে এসে চলন্ত গাড়ির দরজা খুলে গত সোমবার পৌনে তিনটার দিকে সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি।
এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তার খোঁজ না পাওয়ায় আজ মঙ্গলবার নদীতে অভিযান চালাচ্ছে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তীব্র স্রোতের কারণে নদীর তলদেশে নামতে পারেনি ডুবুরী দল। তবে তাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিখোঁজ নুরুজ্জামানের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানায়। তিনি ঢাকার ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার উর্মি গার্মেন্টসে আয়রনের কাজ করতেন। তিনি শ্রমিকলীগের একজন কর্মী বলে ভিডিওতে দাবি করেন।
নুরুজ্জামানের ১৫ আগস্ট সকাল ৫ টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবরের পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে যায়। সেখানে তার কাছে প্রবেশের কোনো অনুমতি না থাকায় সেখান থেকে ফিরে আসতে হয়। বাড়ির উদ্দেশ্যে ফেরার পথেই নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি।