‘শিগগিরই জ্বালানির দাম সমন্বয় হবে’: সবাইকে ১-২ মাস ধৈর্য ধরার অনুরোধ নসরুল হামিদের
শিগগিরই দেশে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে জানিয়ে সবাইকে এক-দুই মাস ধৈর্য ধারার অনুরোধ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
"আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে আসলেই দেশে দাম সমন্বয় করা হবে। প্রয়োজনে একাধিকবার সমন্বয় করা হবে"।
রোববার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে 'বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা: অস্থির বিশ্ববাজার' শীর্ষক এক সেমিনারে একথা বলেন তিনি।
জ্বালানি খাতের রিপোর্টারদের সংগঠন ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) এই সেমিনারের আয়োজন করে।
"আমরা বিশ্ব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি কঠিনভাবে। মূল্য সমন্বয় কিন্তু খুব বেশি দিন হয়নি। আমি সবাইকে বলব এক-দুইটা মাস আপনারা অন্তত ধৈর্য ধরুন। একটু সহনীয় হউন। আমরা আশাবাদী, তেলের মূল্য যদি কমতি আরম্ভ করে অবশ্যই এটাকে আমরা একটা ভালো সমন্বয় করে নিচে নিয়ে আসতে পারব, এটা নিয়ে আমি আশাবাদী", বলেন তিনি।
গত ৫ আগস্ট জ্বালানির দাম ৪২.৫ শতাংশ থেকে ৫১.৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। ২০০১ সালের পর এটিই জ্বালানির দামের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি।
নতুন মূল্যে প্রতি লিটারে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৩৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ আগের মূল্য ৮০ টাকার বদলে এখন এ জ্বালানিগুলো কিনতে ক্রেতাকে গুণতে হবে ১১৪ টাকা। অন্যদিকে অকটেন ও পেট্রোল লিটারপ্রতি ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করা হয়েছে।
এর আগে ২০০৮ সালের ২৭ অক্টোবর ডিজেলের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি ছিল কেবল ৩৭.৫ শতাংশ। কিন্তু এবার ডিজেলের দাম বেড়েছে ৪২.৫ শতাংশ এবং অক্টেনের ৫১.৬ শতাংশ।