সুইস ব্যাংকের কাছে তথ্য না চাওয়ার কারণ জানতে চান হাইকোর্ট

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
11 August, 2022, 03:05 pm
Last modified: 11 August, 2022, 03:28 pm
“তথ্য পেতে কী করতে হবে তা আমরা সরকারকে জানিয়েছি, তবে আমাদের কাছে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য চাওয়া হয়নি,” বলেন সুইস রাষ্ট্রদূত।

সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা জমা রাখার বিষয়ে নির্দিষ্ট করে বাংলাদেশ সরকার কেনো কোনো তথ্য চায়নি, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষকে আগামী রোববারের মধ্যে এ বিষয়ে হাইকোর্টকে কারণ জানাতে বলা হয়েছে।

হাইকোর্ট বলেছেন, বিচারপতিরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য পড়েছেন। বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে প্রকাশিত সংবাদপত্রের অনুলিপি জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শুনেছেন আদালত। আগামী রোববার এ বিষয়ে আদেশ জারি করা হবে।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

গতকাল বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বলেন, সরকার কখনো সুইস ব্যাংকের কোনো অ্যাকাউন্টধারীর বিষয়ে কোনো বিশেষ তথ্য জানতে চায়নি।

বুধবার (১০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, "সুইস সরকার চায় না কোনো দুর্নীতি বা পাচার করা অর্থ সুইস ব্যাংকে জমা থাকুক। সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকা রাখার বিষয়ে দুই দেশের সরকার আলোচনা করতে পারে।" 

সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক 'সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক' (এসএনবি)-এর জুন ২০২২ সালে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশিরা সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় ৩ হাজার  কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ জমা রেখেছেন।

"তথ্য পেতে কী করতে হবে তা আমরা সরকারকে জানিয়েছি, তবে আমাদের কাছে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য চাওয়া হয়নি," বলেন রাষ্ট্রদূত।

প্রতিবছর বাংলাদেশিরা কত টাকা জমা রেখেছেন সেই তথ্য সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক দিতে পারলেও ওই টাকা অবৈধভাবে অর্জন করা হয়েছে কিনা তা বলা সম্ভব নয় বলে জানান রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.