প্যাসিফিক জিন্সের কারখানায় চালু হলো ৩.৫ মেগাওয়াটের সোলার পাওয়ার প্লান্ট
চট্টগ্রাম ইপিজেডে দৈনিক ৩.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার সোলার পাওয়ার প্লান্ট চালু করেছে প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপ। সোমবার (৮ আগস্ট) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সোলার প্লান্টের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান।
প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের 'গ্রিন এনার্জি ইনিশিয়েটিভের' অংশ হিসেবে ইউনিভার্সাল জিন্স লিমিটেড কারখানায় নির্মিত এই সোলার প্লান্টে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ লাখ ইউএস ডলার। ৪৯ হাজার ৯৪ স্কয়ার ফিট আয়তনের সোলার প্লান্টে ওয়াকওয়ে রয়েছে ১২ হাজার ৪৫০ স্কয়ার ফিট। এই প্লান্টটি বছরে ৭০০ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন হ্রাস করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্যাসিফিক জিন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, এই প্ল্যান্ট থেকে প্রতিদিন সাড়ে ৩.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে যা কারখানার মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ১০ শতাংশ। পাওয়ার প্লান্টটির বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে প্রতি মাসে প্রায় ১০ লাখ টাকার বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।
প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপ পর্যায়ক্রমে তাদের ১০টি প্রতিষ্ঠানে রুফটপ সোলার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন করবে। এর মধ্যে গত ১ এপ্রিল ইউনিভার্সাল জিন্স লিমিটেডে সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু হয়। যেটি ৮ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। এই বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে এই পর্যন্ত ১৮৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।
এছাড়া আগামী সেপ্টেম্বরে প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেড কারখানায় সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু হতে যাচ্ছে। ৮০ হাজার স্কয়ার ফিট আয়তন জুড়ে স্থাপন করা এই প্লান্টে দৈনিক ৫.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। সেটি ওই কারখানার ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করবে।
প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপ পর্যায়ক্রমে ২০২৩ সালে জিন্স ২০০০ লিমিটেড এবং এনএইচটি ফ্যাশনস লিমিটেডে, ২০২৪ সালে প্যাসিফিক নিটেক্স লিমিটেড এবং প্যাসিফিক ওয়ার্কওয়্যারস লিমিটেডে আর ২০২৫ সালে প্যাসিফিক ক্যাসুয়ালস লিমিটেড (ইউনিট ১, ২), পাসিফিক এটায়ার্স লিমিটেড, প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেড (ইউনিট ২) এবং ইউনিভার্সাল জিন্স লিমিটেডে (ইউনিট ৪) সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে।
১০টি কারখানায় ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬৫০ স্কয়ার ফুট জায়গাজুড়ে সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু হলে ৩২.৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, যা প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২০ শতাংশ পূরণ করতে সক্ষম হবে। বছরে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন হ্রাস করবে ৬ হাজার ৪৫৮ মেট্রিক টন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বলেন, 'বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ইপিজেডের কারখানাগুলোতে ৫ থেকে ১০ শতাংশ সোলার প্লান্ট চালুর বিষয়টিকে প্রাধান্য দিচ্ছে। প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপ সোলার প্লান্টের মাধ্যমে তাদের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২০ ভাগ পূরণ করতে যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অত্যন্ত ইতিবাচক। অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের আহবান জানাবো যাতে তাদের কারখানায় এই ধরনের প্লান্ট চালু করে।'
পাওয়ার প্ল্যান্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মশিউদ্দিন বিন মেজবাহ, প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভির প্রমুখ।