বাড়তি ভাড়া আর গণপরিবহন সংকটে চরম দুর্ভোগে নগরবাসী

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
07 August, 2022, 02:20 pm
Last modified: 07 August, 2022, 02:24 pm
"বেতন পাই কয় টাকা! প্রতিনিয়ত খরচ বাড়ছেই। কিন্তু আমাদের বেতন তো আর সেভাবে বাড়ছে না।"
ছবি-টিবিএস

ঢাকায় বাসের বাড়তি ভাড়া কার্যকর হলেও এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গণপরিবহনের সংকটে পড়েছেন অফিসগামী লোকজন। আবার কোথাও কোথাও সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত আদায়ের ঘটনাও ঘটছে। এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়েছে একাধিক পরিবহন শ্রমিকের। এমনকি হাতাহাতির মতো ঘটনাও চোখে পড়েছে।

রোববার (৭ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুর, আগারগাঁও, ফার্মগেট, মহাখালী, কল্যাণপুর, বাংলামোটর সহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

মিরপুর-১০ থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ভাড়া রাখা হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। খাজাবাবা লিমিটেড পরিবহনের ড্রাইভার মো. মিঠুন টিবিএসকে বলেন, 'গতকাল ভাড়া বাড়ানো হয়েছে তাই ২৫ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছি। ভাড়ার নতুন চার্ট আসলে তখন সমস্যা হবে না।'

ছবি-টিবিএস

মিরপুর থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলোর অধিকাংশ বাসেই দেখা যায় নির্ধারিত নতুন ভাড়ার চেয়ে ৫ থেকে ১৫ টাকা বেশি নিচ্ছেন হেলপাররা। এ নিয়ে হেলপারের সঙ্গে বেশ কয়েকজন যাত্রীর কথা কাটাকাটিও হয়েছে।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আজমীর শেখ টিবিএসকে বলেন, 'সরকার তেলের দাম বাড়ানোয় বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে বাসগুলো। মিরপুর-১ থেকে উঠলাম, বললো গুলিস্তান ৫০ টাকা। অথচ আগে ৩০ টাকা ভাড়া ছিল। কি আর করা বাধ্য হয়ে অনেক বেশি ভাড়া দিয়েই যেতে হচ্ছে। আমরা সাধারণ মানুষ কষ্টে পড়ে গেছি। এভাবে আর কতদিন চলবে। বেতন পাই কয় টাকা! কিন্তু প্রতিনিয়ত খরচ বাড়ছেই। আমাদের বেতন তো আর সেভাবে বাড়ছে না।'

রাজধানীর ব্যস্ততম স্থান গুলিস্তান থেকে মিরপুরগামী শিকড় পরিবহনের বাসেও দেখা গেছে ৫ টাকা বেশি ভাড়া নিতে। সেই সঙ্গে অন্যান্য সময়ের চেয়ে সড়কে তাদের বাসের সংখ্যা ছিল কম।

পরিবহন সংকটের বিষয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মকবুল চৌধুরী বলেন, 'মিরপুর থেকে অন্য সময় সকাল সাড়ে ৮টার পর বের হই। কিন্তু বাস সংকটের কথা চিন্তা করে আজ ৮টায় বের হয়েছি। তবুও বাস পাওয়া যাচ্ছে না। একটা বাস আসলে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ছে।' প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করে তিনি একটি বাসে চড়েন।


আরও পড়ুন- দূরপাল্লার বাসের ভাড়া ২২%, সিটি বাসের ভাড়া ১৬% বাড়ল


 

ছবি-টিবিএস

শিকড় পরিবহনের বাসের হেলপার রাজু আহমেদ টিবিএসকে বলেন, 'ভাড়া বাড়লে মানুষ তা মেনে নিতে চায় না। এখন লস দিয়া তো আর গাড়ি চালাইতে পারুম না। সে জন্য ভাড়া বাড়লে দু-একদিন গাড়ি বন্ধ রাখে। তাইলে মানুষ কিছু মাইনা নেয়। নইলে ভাড়া নিয়া আমগো লগে মারামারি করে।'

তিনি জানান, এ পরিবহনের প্রায় ৬০টি গাড়ি থাকলেও আজ ৩০টির মতো চলছে। 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.