বিদ্যুৎ-বাণিজ্য নিয়ে আগামী মাসে বৈঠকে বসতে পারে বাংলাদেশ ও নেপাল  

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
28 July, 2022, 01:45 pm
Last modified: 28 July, 2022, 02:03 pm
ভারতের অবস্থান যেহেতু নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে, সুতরাং প্রতিবেশি এই দেশটির সহায়তা ব্যতীত দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুতের বাণিজ্য সম্ভব নয়। 

আগস্টের শেষের দিকে বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ ও জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির চতুর্থ বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে দু'দেশের তরফেই বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা এবং নেপালের জলবিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে। খবর দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের। 

জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে দুই দেশের যুগ্ম সচিবরা নেতৃত্ব দেবেন এবং জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের নেতৃত্বে থাকবেন নিজ নিজ সরকারের পক্ষে সচিবরা।

নেপালের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মধু ভেতুওয়াল বলেন, "আগস্টের শেষদিকে এই বৈঠকের জন্য আমাদের অনুরোধ করা হয়েছে।"

তিনি বলেন, "প্রস্তাবিত সময় হিসেবে আগস্ট ভালোই। কিন্তু এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।"

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুতের বাণিজ্য এবং নেপালের জলবিদ্যুৎ খাতে কীভাবে বাংলাদেশের বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে বলে তিনি জানান। 

বৈঠকগুলো এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যখন ভারত নিজেও বিবিআইএন (বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল সংযুক্তি) কাঠামোর আওতায় উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে নমনীয় হয়ে উঠেছে।

ভারতের অবস্থান যেহেতু নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে, সুতরাং প্রতিবেশি এই দেশটির সহায়তা ব্যতীত দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ বাণিজ্য সম্ভব নয়।  

গত বছরের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ ও জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির তৃতীয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময়, দুই দেশ ভারতের ওপর দিয়ে একটি সঞ্চালন লাইন স্থাপনে সম্মত হয়েছিল।

তবে এ বিষয়ে এখনও কোনও ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়নি বলে মত ভেতুওয়ালের।

তিনি বলেন, "আমরা মনে করি, নেপাল-বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সভা হওয়া দরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই এ ধরনের বৈঠকের প্রস্তাব দেয়নি।"

ইতিমধ্যে বাংলাদেশ পরিকল্পিত ৯০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে সম্মত হয়েছে। ভারতীয় প্রতিষ্ঠান জিএমআর গ্রুপ প্রকল্পটি এগিয়ে নেবার জন্য কন্সট্রাকশন লাইসেন্স পেয়েছে।

বিদ্যুৎ বাণিজ্যের পাশাপাশি উভয় দেশ দুটি স্টোরেজ টাইপ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প- ৬৮৩ মেগাওয়াটের সানকোশি-৩ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং [১১০০ মেগাওয়াটের অধিক] খিমতি শিবালয় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করবে বলে ভেতুওয়াল জানান।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুই পক্ষের ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশের বিনিয়োগে সানকোশি-৩ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে উন্নয়নের ক্ষেত্র অন্বেষণে একত্রে কাজ করতে সম্মত হয়েছিল বাংলাদেশ ও নেপাল। 

সেসময় প্রকাশিত নেপালের মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিবৃতি থেকে জানা যায়, গত বছর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সানকোশি-৩ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রস্তাবিত সাইট পরিদর্শনের জন্য নেপালে একটি দল পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু কোভিড মহামারিতে সে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

সর্বশেষ সপ্তাহ দুয়েক আগে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সহ নেপালি কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের একটি যৌথ দল, নেপালের সানকোশি-৩ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সাইট পরিদর্শন করেন।     
 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.